শীতে ঠিকমতো কম্বল মুড়ি না দিলে শরীরের উষ্ণতা ধরে রাখা কঠিন। তবে পথেঘাটেই যাদের দিন কাটে, তাদের গল্পটা অন্যরকম। তাদের এ সবের জোগান নেই। আকাশের তলায় তাদের সব ঋতুতে থাকতে হয়। সেভাবেই যেন তাঁদের অভ্যাস। এর মধ্যেও কেউ কেউআছেন যারা শুধু নিজের কথা ভাবেন না। তাঁর মতোই পথে রয়েছে এমন অন্য প্রাণীর কথাও ভাবেন। তাদের সঙ্গে নিজের জিনিস ভাগ করে নেন। সম্প্রতি টুইটারে একটি পোস্টে তেমন ছবিই দেখা গেল।
ভারতীয় বন দফতরের আধিকারিক সুশান্ত নন্দ ছবিটি পোস্ট করেন। ছবিটিতে একজন গৃহহীন ব্যক্তিকে ফুটপাতে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। ছোট্ট একটা মাদুর বিছিয়ে তাতেই কোনওমতে শুয়ে আছেন তিনি। সামনে সূর্যের আলো চোখে পড়া আটকাতে রাখা আছে একটি ছাতা। তবে মাদুরটায় তিনি একা নন। ওই মাদুরেই জায়গা পেয়েছে আরও কয়েকটি সারমেয়। পোস্টের ক্যাপশনে সুশান্ত লিখেছেন, সারা পৃথিবীকে জায়গা করে দিতে হলে হৃদয় এমন উদার হওয়া উচিত।
শীতের সময় ফুটপাতবাসীরা এভাবেই দিন কাটান। প্রবল শীতে এর জন্য অনেককে প্রাণ হারাতে হয়। একই অবস্থায় দিন কাটে পথের সারমেয়দের। শীতে একটু শরীর উষ্ণ করার জন্য তারা নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ায়। এমন ঘটনাই এখন চোখ সওয়া হয়ে গিয়েছে। এদিনের ছবিটি তাই স্বাভাবিকভাবে জায়গা করে নেয় নেটাগরিকদের মনে। সুশান্তর পাশাপাশি নেটাগরিকরাও এমন দৃশ্য দেখে ব্যক্তিটির প্রশংসায় পঞ্চুমখ। টুইটটিতে লাভ রিয়্যাক্টের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, পথবাসী কুকুরদের উপর অত্যাচারের ঘটনা প্রায়ই এখন প্রকাশ্যে আসে। এই নিয়ে নেটদুনিয়ায় সরবও হন পশুপ্রেমীরা। কিছু দিন আগে খাস কলকাতার আর্মহার্স্ট স্ট্রিটে কুকুরকে পাশবিকভাবে মারার ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। সেই অপরাধে কুকুরটির মালিককে গ্ৰেপ্তারও করা হয়। এ ছাড়াও কালীপুজোয়, দোলযাত্রায় কুকুরদের সঙ্গে প্রায়ই অমানবিক আচরণ করে থাকেন অনেকে। পশুপ্রেমীরা সে সব অপরাধ নিয়ে মাঝে মাঝেই সোচ্চার হন। এদিনের এই পোস্টটি স্বাভাবিকভাবে তাঁদেরও নজর কেড়েছে। লাভ রিয়্যাক্টের পাশাপাশি ব্যক্তিটির জন্য অনেক শুভকামনাও জানিয়েছেন পশুপ্রেমীরা।