অনেক শখ করে একটি জার্মান শেফার্ড কেনা হয়েছে বাড়ির জন্য। কিন্তু তাকে নিয়ে যত সমস্যা বরের। তার নাকি পোষ্যে অ্যালার্জি। বাড়িতে এসেই জার্মান শেফার্ড এদিক ওদিক ঘুরে সব কিছুতে মুখ দেবে, চেখে দেখবে। শুধু তাই নয়, নিজের লোম ছড়িয়ে চারপাশ অপরিস্কার করবে। বরের নাকি এসব অপছন্দ। কারণ কুকুরে বেশ অ্যালার্জিও রয়েছে তার! এদিকে কুকুর না থাকলেও ঠিক মনর শখ পূরণ হচ্ছে না। কী করা যায় ? কীভাবে সমস্যার সমাধান হবে? শেষ পর্যন্ত অনেক ভেবে দত্তক নেওয়ার আবেদন জানালো সোনালি। কারণ, এক ছাদের তলায় দুজনকে রাখা যাবে না। তবে কুকুরকে নয়, দত্তক নিতে হবে তার বরকেই! তার হ্যান্ডসাম বর গৌরবকে কেউ দত্তক নিক, এমন আজব দাবি নিয়েই টুইটারে পোস্ট করলেন সোনালি!
কী লেখা হয়েছে সেই পোস্টে? এক নেটিজেন পোস্ট করেন, তার বন্ধু সোনালি নাকি তার বরের জন্য একটি বাড়ি খুঁজছে! খুব জরুরি দরকার সেই বাড়ির। কেন? কারণ কয়েক দিন আগে সে ২০ হাজার টাকা একটি জার্মান শেফার্ড কেনে। তাঁর ধারণা ছিল, বরকে একটা জব্বর উপহার দেওয়া যাবে জার্মান শেফার্ড ‘লিও’কে বাড়িতে আনলে। সেই মতো পরিকল্পনা করে তাকে বাড়িতে আনা হয়। কিন্তু তারপরেই অপেক্ষা করছিল আসল চমক। কয়েকদিন পরেই দেখা গেল বরের ভীষণ অ্যালার্জি হয়ে যাচ্ছে। সে কিছুতেই থাকতে পারছে না। লিও-র সঙ্গে এক ছাদের তলায় থাকা রীতিমতো কঠিন হয়ে পড়ছে! এই অবস্থায় কী করা যাবে? তখনই একটা আজব উপায় এল সোনালির মাথায়। কী সেই উপায়? তা হল তার বরকে আলাদা কোনও বাড়িতে রাখা। তাহলে আর অ্যালার্জিতে ভুগতে হবে না তাকে! বরকে ছাড়া যায় কিন্তু পোষ্যকে নয়। তাই পোষ্য লিও থাকবে তার সঙ্গেই। এমন এক আজব সিদ্ধান্ত শুনেই অবাক হয়েছে নেটদুনিয়া।
পোস্টে বাড়ির খোঁজ দেওয়ার বদলে রীতিমতো মস্করা শুরু হয়ে যায়। এক নেটিজেন বলেন, ‘বরদের গুরুত্বই নেই! আমি বাবা বিয়েই করব না!’ আরেক নেটিজেন বলেন,‘মেয়েদের মন বোঝা খুব মুশকিল!’