মদের নেশায় যে কতটা সহজে একটা ফুলের মত জীবন নষ্ট হয়ে যেতে পারে, তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণ দিলেন বেঙ্গালুরুর ভিখারি। প্রথমে নিজেকে ফ্রাঙ্কফুর্টের টেকি বলে দাবি করেন তিনি। জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে এমএস করেছেন বলে জানান তিনি। অনর্গল ইংরেজি বলতে থাকা রাস্তার ভিক্ষুকের প্রকাশ্যে এমনই দাবির ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই কেঁপে ওঠে নেটমহল।
আরও পড়ুন: (Lifestyle Tips: ইঁদুরের বংশ সাফ হয়ে যাবে, লবঙ্গেই সমাধান, ঘরের কোণে রাখুন এভাবে)
সম্প্রতি, এক ইনফ্লুয়েন্সারের কাছে এমনটাই বলেছিলেন ওই ভিখারি। সেই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই তোলপাড় শুরু হয় নেটমাধ্যমে। দাবির সত্যতা যাচাই করেন ওই ইনফ্লুয়েন্সার। জানতে পারেন, আসলে, রাস্তায় ভিক্ষা করতে থাকা ওই ব্যক্তি এদিন নেশাগ্রস্ত ছিলেন। তাই এমন দাবি করেছেন তিনি। তিনি মনে নিজেই ভেবে নেন যে প্রযুক্তি খাতে পেশাদার তিনি। ফ্রাঙ্কফুর্ট এবং বেঙ্গালুরুতে কাজ করেছেন। কিন্তু বাস্তবে, তিনি একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ড্রপআউট।
জানা গিয়েছে, ওই ভিক্ষুকের নাম কৃষ্ণা। এমন স্বীকারোক্তির পর কিছুদিন নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। পরে, বেঙ্গালুরু পুলিশ তাঁকে খুঁজে পেতে একটি 'ভিক্ষুকের অভিযান' শুরু করে। যাইহোক, নতুন ইনস্টাগ্রাম পোস্টের একটি সিরিজে, ওই ইনফ্লুয়েন্সার প্রকাশ করেছেন যে কৃষ্ণা নিমহান্স (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড নিউরোসায়েন্স) এ চিকিৎসাধীন ছিলেন।
ভাইরাল ভিডিয়ো দেখুন এখানে
বলা বাহুল্য, মদ কীভাবে যে শারীরিক এবং মানসিক দুইভাবেই কষ্ট দিতে পারে, তারই প্রমাণ দিয়েছে কৃষ্ণার গল্প। একই কারণে অনুতপ্ত কৃষ্ণাও। এখন নিজের স্ট্রাগল, আসক্তির যন্ত্রণা দূরে ঠেলে নতুন করে শুরু করার আশা রাখছেন। কৃষ্ণা বলেন, 'আমি যা করেছি তার জন্য আমি অনুতপ্ত। আমি একটি নতুন জীবন চাই। ই জীবন নিয়ে আমি ক্লান্ত। আমি সঠিকভাবে বাঁচতে চাই। এটাই আমার একমাত্র উদ্দেশ্য।
আরও পড়ুন: (Lifestyle Tips: মাংসের স্বাদ নিখুঁত হচ্ছে না? রান্না করার সময় খেয়াল রাখুন এই ৪টি জিনিস)
সুস্থ জীবনে ফিরে আসার জন্য তাঁর পরিকল্পনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, কৃষ্ণা বলেন, 'প্রথমে, আমাকে আমার সুস্বাস্থ্য ফেরাতে হবে। অ্যালকোহল আমাকে শারীরিকভাবে নিষ্কাশন করেছে এবং আমাকে বিভিন্ন উপায়ে প্রভাবিত করেছে। আমি সমাজে চলার জন্য যে কোনও ছোট কাজ নিতে প্রস্তুত। আমি মানুষের সাথে যোগাযোগ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছি, কিন্তু আমি চেষ্টা করতে চাই।' এরই পাশাপাশি, কৃষ্ণা ধর্মশালা নামে নিজের একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করার স্বপ্নও শেয়ার করেন। 'পুণ্য ও প্রজ্ঞার' কেন্দ্র হিসাবে এই স্কুল গড়ে তুলতে চান বলে জানান কৃষ্ণা।