অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সে দেশের মানুষ। নাইন টু নাইন কর্ম ব্যবস্থা পছন্দ নয় কর্মীচারীদের। তাই এবার অভিনয় কায়দায় প্রতিবাদ জানাচ্ছেন মানুষ। সেই ভিডিয়োও ভাইরাল এখন সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে। আসলে, চিনের যুবকরা কাজ এড়াতে, চিনে মানুষ পাখি হওয়ার ভান করে দেশের '৯৯৬' ব্যবস্থার প্রতিবাদ করছেন। এই '৯৯৬' নীতিতে বলা হয়েছে যে কর্মীদের সপ্তাহে ৬ দিন সকাল 9 টা থেকে রাত 9 টা পর্যন্ত কাজ করতেই হবে। অর্থাৎ দিনের পুরো ১২ ঘণ্টা কাজ করায় চিন। এই নীতি তাঁদের সপ্তাহে ৭২ ঘণ্টা কাজ করতে বাধ্য করে।
কিন্তু শুধুমাত্র পাখি সেজেই কেন চলছে এমন প্রতিবাদ
পাখিদের কোনও বাধ্যবাধকতা থাকে না। তাদের আটকানোর কেউ নেই। আর মানুষও যদি তাই পাখি হয়ে উঠতে পারত, তাহলে দীর্ঘ সময়ের জন্য পড়াশোনা বা কাজ এড়াতে পারত। এই দৃষ্টিভঙ্গি রেখেই চিনের মানুষ এখন পাখি হয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। পাখি হয়ে প্রতিবাদ জানানো এই ট্রেন্ড মূলত ছাত্ররা অনুসরণ করেন। কারণ পড়াশোনা শেষ হলেই, জীবনে যে ইঁদুর দৌড়, একটা প্রাথমিক রুটিন দাঁড়িয়ে যায়, এই বিষয়টি নিয়েই ভীত থাকেন ছাত্ররা। এছাড়াও এমনভাবে তরুণ পেশাদাররাও প্রতিবাদ জানিয়ে থাকেন।
ভাইরাল ভিডিয়োতে কী দেখা গিয়েছে
ব্যাবেলফিশ এশিয়ার রিপোর্ট ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছে এই ভিডিয়ো। যা ক্রমশ ভাইরাল হচ্ছে। এখানে যুবকরা এত কাজ না করার জন্য প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, তাও আবার পাখির মতো কিচিরমিচির করে। ভাইরাল ভিডিয়োতে নজর কেড়েছে প্রতিবাদীদের পোশাক ও তাঁদের প্রতিবাদের ধরণও। পুরুষ এবং মহিলারা বড় টি-শার্ট পরেছিলেন। এমন ভাবেই জামার মধ্যে তাঁদের পা লুকিয়ে রেখে বসেছিলেন যে তাঁদের পাখির মতোই দেখাচ্ছিল। ভিডিয়োতে 'ডানা' ঝাপটাতেও ভোলেননি প্রতিবাদীরা।এবং মুখ থেকে কিচিরমিচির শব্দও করেছিলেন।
আরও পড়ুন: (Viral: ‘প্রাণের ভয় নেই’— ট্রেনের কাপলারেই উঠে পড়ছে মানুষ! বিহারের যাত্রীদের ট্রেন চড়ার হিড়িক ভাইরাল)
ভিডিয়োটি এই মুহূর্তে ১.৫ লাখেরও বেশি বার দেখা হয়েছে। আরও মানুষ দেখছেন, মন্তব্য করছেন। একজন ব্যবহারকারী বলেছেন, ঠিক আছে, তাঁরা কম বয়সী এবং তাঁদের শক্তি আছে, তবে ৯-৯-৬-এর কাজ খুবই চাপের, যা ব্যক্তি স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। আরও একজন বলেছেন, এটা একটা বিপ্লবের সূচনা মনে হচ্ছে। তৃতীয় ব্যবহারকারী বলেছেন, 'আমিও কাজ করতে চাই না, পাখির মতো মুক্ত হতে চাই।'
এই প্রথম নয়, চিনের যুবকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় কাজের সংস্কৃতি নিয়ে আগেও হতাশা প্রকাশ করেছে। চিনের কর্ম সংস্কৃতির প্রতিবাদে, ২০২২ সালে, 'বাই ল্যান' (জাহান্নামে যান) শব্দটি ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছিলেন তাঁরা।