বিরাট কলা বানিয়ে বিশ্ব রেকর্ড করলেন বিখ্যাত শেফ। ভিডিয়ো দেখেই চোখ ধাঁধিয়ে গেল নেটিজেনদের। নিজের প্যাস্ট্রি একাডেমিতে বসেই 'ফলের বৃহত্তম চকলেট ভাস্কর্য' তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। ভাইরাল সেই ভিডিয়ো।
এই বিখ্যাত চকোলেটিয়ার শেফের নাম আমাউরি গুইচন। লাস ভেগাসের প্যাস্ট্রি একাডেমিতেই নতুন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড স্থাপন করেছেন গুইচন। মূলত, চকোলেট দিয়েই বিভিন্ন আর্ট করেন তিনি। এবার এক ধাক্কায় ৬৬ ইঞ্চি বাই ২৯.৫৭ ইঞ্চি পরিমাপের ভাস্কর্য বানিয়ে, প্রমাণ দিয়েছেন তাঁর আশ্চর্যজনক গুণের।
ইনস্টাগ্রামে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস-এর শেয়ার করা একটি ভিডিয়োতে, শেফ গুইচন এই কলা বানানোর সময় আসা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জগুলি ব্যাখ্যা করেছেন৷ ভিডিয়োতে দেখানো হয়েছে যে তিনি একটি অর্ধেক খোসা ছাড়ানো কলার একটি ছাঁচ তৈরি করছেন, তারপরে সাবধানে এটির উপর একটি চকোলেট ছাঁচ দিলেন, আর এই ভাস্কর্যেই প্রকাশ পেল গুইচনের অবিশ্বাস্য প্রতিভা।
আরও পড়ুন: (Ghee Recipe: ঘি তৈরি করতে আর লাগবে না দুধ, কীভাবে বানাবেন? দেখে নিন চট করে)
দেখুন ভাইরাল ভিডিয়োটি
আসলে, গত কয়েক বছর ধরেই চকলেট দিয়ে এমন কলা বানানো প্র্যাকটিস করে এসেছেন তিনি। তিনি জানেন যে একই তাপমাত্রার, তরল কিংবা শক্ত দুই-ই হতে পারে চকলেট। গত দশ বছরে, তিনি এই মূল্যবান উপাদান দিয়েই সুন্দর ভাস্কর্য তৈরির পরিকল্পনা করেছেন। যদিও তাঁর তৈরি ছাঁচ ডিম বা গোলকের মতো অত্যন্ত সাধারণ আকারের, তবে এটিই পরে শিল্পের আশ্চর্যজনক উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া
গুইচেনের কীর্তি দেখে অবাক নেটিজেনরা। একজন ব্যবহারকারী ভিডিয়ো দেখে মন্তব্য করেছেন, গুইচেন সত্যিই বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি পাওয়ার যোগ্য। অন্য একজন ব্যবহারকারী আবার বলেছেন, 'আমার চোখে দেখা সেরা শেফ।'
আরও পড়ুন: (Vastu Tips: ভুলেও বাড়িতে লাগাবেন না এই ৫টি গাছ, জীবনে ঘনিয়ে আসবে দুঃখের কালো ছায়া)
এই প্রথম নয়, এর আগেও খাবার দিয়েই বিশেষ আর্ট বানিয়ে বিশ্ব রেকর্ড করেছিলেন শেফ গুইচন। এটি তাঁর দ্বিতীয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। প্রথম রেকর্ডটি ছিল, কোকো মাখন এবং রঙের মিশ্রণে তৈরি বড় কুকুরের আকারে চকোলেট ভাস্কর্য। তবে, কলা তৈরির কয়েক সপ্তাহ আগে, শেফ গুইচন 'পিচ কেক ফ্যান' বানিয়ে লাইমলাইটে এসেছিলেন। সিরাপে ভিজিয়ে, পিচ এবং তুলসী ভরা ময়দা থেকে তৈরি করা হয়েছিল এই কেক। কেক ফ্যানের ব্লেড এবং স্ট্যান্ড তৈরি করতে সাদা চকলেট ব্যবহার করেন শেফ, এমনকি ফ্যান যাতে টেকসই হয়, তা নিশ্চিত করতে খাবার যোগ্য রুপোলি রঙের স্ক্রুও ব্যবহার করেন তিনি। সবমিলিয়ে, খাবার জিনিস দিয়ে আর্ট বানানোর ক্ষেত্রে, শেফ গুইচেনের কিন্তু জুড়ি মেলা ভার।