Vulgar Prank: এ কেমন বিয়ে! কনেকে খুঁটিতে বেঁধে অশ্লীল তামাশা ছেলেদের

Bizarre: বিয়ের আজব রীতি সম্পর্কে জেনেই অবাক হবেন।

প্রকাশ্যে নিতান্তই অশ্লীল বিবাহ প্রথা। নতুন কনেকে খুঁটিতে বেঁধে পুরুষদের এমন  ক্রিয়াকলাপ, যে কোনও বিয়ের নিয়মের অন্তর্গত হতে পারে, তা ভাবাই যায় না।

সারা বিশ্বে বিভিন্ন ধর্মের বিয়ের নিজস্ব রীতিনীতি এবং ঐতিহ্য রয়েছে। তবে, আজ এই আধুনিক সময়ে দাঁড়িয়েও, অনেক জায়গায় এমন কিছু বিয়ের রীতি নজর কাড়ে, যা দেখে অবাক হতে বাধ্য হন মানুষ। সম্প্রতি, এমনই একটি বিয়ের মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে কনের সঙ্গে এমন কিছু করতে দেখা গিয়েছে, যা নেটিজেনদের ক্ষুব্ধ করে তুলেছে।

সে নিয়ম অনুযায়ী, বিয়ের দিনই কনেকে খুঁটিতে বেঁধে রাখা হয়। টেপ দিয়ে বাঁধা হয় কনেকে। এ সবই করেন পুরুষেরা। এসময় মেয়েটি চিৎকার করলেও কেউ তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনা। ভাইরাল হওয়া এই বিয়ের নিয়মটি চিন দেশের বলে জানা গিয়েছে। অনেকেই এই ক্লিপটি দেখে তাঁদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং এই ধরনের অশ্লীল রসিকতা বন্ধ করারও দাবি জানিয়েছেন। ভিডিয়োটি আসলে ভাইরাল হয়েছে চিনা সোশ্যাল মিডিয়ায়।

সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হল এই অশ্লীল রীতিতে জড়িত পুরুষরা সকলেই বরের ছোটবেলার বন্ধু। এটা তাঁদের জন্যই নিতান্তই একটি গেম। যা নবদম্পতির অনুমতিতেই খেলা হয়। ইয়াং নামে বরের এক বন্ধু এ প্রসঙ্গে বলেন, আমাদের ভালো বন্ধুদের মধ্যে স্থানীয় রীতি হল এটি। এর জন্য কোনও ক্ষতি হয়নি। তিনি আরও বলেন যে অনুষ্ঠানের সময় কনের স্বামী সেখানেই ছিলেন। কনেও নিরাপদ ছিলেন।

এই রীতির নাম হুন নাও

ঐতিহ্যবাহী চিনা বিয়েতে, হুন নাও মূলত নবদম্পতির জন্য একটি মজার পরিবেশ তৈরি করতে খেলা হয়। এটি শতাব্দী প্রাচীন একটি নিয়ম। আগে মানুষ বিশ্বাস করত যে এই বিশেষ দিনে হাসি ফিরিয়ে আনে এই রীতি। আজ, যদিও, এই রীতি অনুপযুক্ত, অসহনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষোভ

এই পরিস্থিতি, মানুষের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে, অনেকেই এই পুরনো আচারের সমালোচনা করেছেন। একজন লিখেছেন, 'অন্যের ক্ষতিতে আনন্দ পাওয়া সত্যিই ঘৃণ্য। আরও একজন যোগ করেছেন, 'কনের কিছু হলে দায়ী কে হবে?' তৃতীয় একজন পোস্ট করেছেন, 'এই অশ্লীল বিয়ের রীতি অনেক পুরনো।'

এদিকে, ভিডিয়োটি ভাইরাল হওয়ার পরে, স্থানীয় সরকারও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। একটি বিবৃতি প্রকাশ করে নিশ্চিত করা হয়েছে যে এই ঘটনায় জড়িত ইয়াং এবং অন্যান্যরা, তাঁদের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। এরই পাশাপাশি সরকার এই ধরনের পুরনো রীতি বন্ধ করে, সম্মানজনক ভাবে বিবাহের রীতিনীতি পালন করার জন্য নাগরিকদের উৎসাহিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।