বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > বিপদ এড়িয়ে মোটর সাইকেলে হিমালয় জয় করতে চান? নোটবুকে কী কী পয়েন্ট লিখে নেবেন

বিপদ এড়িয়ে মোটর সাইকেলে হিমালয় জয় করতে চান? নোটবুকে কী কী পয়েন্ট লিখে নেবেন

পাহাড়ের মোটরবাইক চালানোর গাইডবুক। 

পাহাড়ে মোটর সাইকেল চালাতে গিয়ে হালে বহু মানুষই দুর্ঘটনার মধ্যে পড়েছেন। ঝুঁকি কমাবেন কীভাবে? রইল গাইডবুক। 

সাম্প্রতিককালে বাঙালি যুবাদের মধ্যে মোটরসাইকেলে হিমালয় অভিযানের প্রবণতা বেড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই কয়েকশ যুবক হিমালয়ের নানা গন্তব্যের দিকে রওনা হচ্ছেন। অনন্য সব অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হচ্ছেন তাঁরা। হিমালয়ের কোলে মুক্ত বাতাসে মোটরসাইকেল চালানোর অনাবিল তৃপ্তির কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু বহু সময় নানা কারণে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন অনেকে। যার ফলে পাওয়া যাচ্ছে দুর্ভাগ্যজনক নানা খবর। অনেক ক্ষেত্রেই পাহাড়ে মোটরসাইকেল চালানোর বিধি না জানায় দুর্ঘটনার মুখে পড়ছেন যুবারা। হিমালয়ে মোটরসাইকেল অভিযানের ক্ষেত্রে কী কী ব্যাপারে সতর্ক হওয়া উচিত তারই কিছু উল্লেখ...

১. মোটরসাইকেল নির্বাচন। সাধারণ চালকের পক্ষে হিমালয়ের আঁকাবাঁকা দুর্গম পথে সমস্ত মোটরসাইকেল চালানো সম্ভব নয়। মোটরসাইকেলের ওজন ও উচ্চতা এক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ। সেই মোটরসাইকেলই নির্বাচন করা উচিত যার ওজন চালক নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। পায়ের বুড়ো আঙুল শুধুমাত্র মাটিতে ঠেকে এমন মোটরসাইকেল নিয়ে হিমালয়ে না চড়াই ভালো।

২. মোটরসাইকেলের সমস্ত নথি সঙ্গে থাকা বাধ্যতামূলক। সঙ্গে হিমালয়ে তিব্বত সীমান্ত লাগোয়া বিভিন্ন জায়গায় যেতে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি লাগে। সেই সমস্ত অনুমতি আগে থেকে তৈরি করে নিয়ে পথে বেরনো উচিত। উদ্বেগ নিয়ে মোটরসাইকেল না চালানোই ভালো।

৩. যাত্রা শুরুর আগে মোটরসাইকেল ভালো করে সার্ভিসিং করানো উচিত। ইঞ্জিন অয়েলের পরিমাণ ও মাণ দেখে নেওয়া উচিত। ব্রেক শ্যু ও ব্রেক প্যাডের অবস্থা দেখে নেওয়া উচিত। সঙ্গে অন্তত ১ জোড়া করে ব্রেক শ্যু বা প্যাড, ১টি থ্রটেল কেবল ও ১ টি ক্লাচ কেবল নেওয়া উচিত। টিউবলেস টায়ার হলে টায়ার রিপেয়ার কিট ও পাম্পার নেওয়া উচিত। রাস্তায় কোথাও মোটর বাইকে কোনও সমস্যা মনে হলে সঙ্গে সঙ্গে নিকটবর্তী সার্ভিস সেন্টারে যোগাযোগ করা উচিত। ব্রক শ্যু বদলানো দরকার হলে বদলে ফেলা উচিত। পাহাড়ে মোটরসাইকেল চালানোয় অ্যাক্সিলেটরের থেকে বেশি দরকারি ব্রেক। ইঞ্জিন ব্রেকিং ব্যবহার করা শিখতে হবে। তাহলে ব্রেকের ক্ষয় রোখা যাবে।

৪. পাহাড়ে মোটর সাইকেল চালানো ও সমতলে চালানোর মধ্যে আকাশ পাতাল ফারাক রয়েছে। সমতলে রাস্তা অনেক প্রসস্ত হয়। রাস্তার পাশে অধিকাংশ জায়গায় ২ – ৩ ফুট বাড়তি জায়গা থাকে। পাহাড়ে তেমন রাস্তা তৈরি সম্ভব নয়। ফলে কোনও বাঁকে সামান্য ভুল হলে হয় খাদ নইলে পাথরের দেওয়ালে ধাক্কা। ফলে মোটর বাইকের গতি নিয়ন্ত্রণ করা খুব দরকারি। সামনে প্রসস্ত সোজা রাস্তা থাকলেও নির্ধারিত গতিসীমার বেশি বেগে মোটরবাইক চালানো যাবে না। রাস্তায় প্রতিটি বোর্ডের দিকে নজর দিতে হবে। যে সমস্ত টার্নের আগে হর্ন বাজানোর চিহ্ন দেওয়া রয়েছে সেখানে হর্ন বাজানো বাধ্যতামূলক। সঠিকভাবে ইন্ডিকেটর ব্যবহার করতে হবে। প্রতিদিন সকালে ইন্ডিকেটর লাইটগুলি চেক করে নিতে হবে। কোনও কারণেই উলটো দিকের লেনে ঢোকা চলবে না। ১০০ শতাংশ নিজের লেনে থেকে বাঁক নিতে হবে। 

৫. পাহাড়ে মোটর সাইকেল চালাতে চালাতে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করাও উচিত নয়। ফোন করতে হলে নিরাপদ জায়গায় দাঁড়িয়ে করা উচিত। রাস্তায় মোটর বাইক চালাতে চালাতে ক্যামেরা চালু বা বন্ধ করা উচিত নয়। দরকার হলে মোটরবাইক দাঁড় করিয়ে ক্যামেরা চালু বা বন্ধ করতে হবে।

৬. নিজের মোটরসাইকেল চালানোর ক্ষমতা বুঝে রোজ গন্তব্য স্থির করতে হবে। সাধারণত একজন বাইকার সমতলে দিনে মোট যত কিলোমিটার মোটরসাইকেল চালাতে পারেন পাহাড়ে চালাতে পারেন তার অর্ধেক। এই তত্ত্ব ১০,০০০ ফুট উচ্চতা পর্যন্ত কাজ করে। ফলে সমতলে আপনি ১ দিনে ৫০০ কিলোমিটার মোটরসাইকেল চালাতে পারলে পাহাড়ে ২৫০ কিলোমিটার চালাতে পারবেন বলে ধরে নেওয়া যেতে পারে। নিজের সাধ্যের বেশি চেষ্টা করবেন না। কোনও কারণেই সূর্য ডুবে যাওয়ার পরে পাহাড়ে মোটরসাইকেল চালাবেন না। বৃষ্টি হলে গতি অত্যন্ত নিয়ন্ত্রণে রাখুন। তেমন হলে বিশ্রাম নিন।

৭. সেফটি গিয়ারস সুরক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সবথেকে ভালো (সব থেকে দামি নয়) মানের সেফটি গিয়ার ব্যহারের চেষ্টা করুন। সমস্ত গিয়ার সঠিক নিয়ম মেনে পরুন। ফুল ফেস হেলমেট ব্যহার করুন।

দূরের পথ পাড়ি দেওয়ার আগে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখতে হবে?
দূরের পথ পাড়ি দেওয়ার আগে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখতে হবে?

৮. পাহাড়ে মোটর সাইকেল নিয়ে অভিযানের ক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় লাগেজ পরিহার করুন। এতে গাড়ির ফুয়েল ইকোনমি কমে যেতে পারে। লাগেজ যতটা সম্ভব নীচু করে বাঁধার চেষ্টা করুন। মানে টপ Rack এ লাগেজ রাখার থেকে সেডেল ব্যাগে লাগেজ রাখা ভালো। এতে মোটর সাইকেলের ভরকেন্দ্র নীচে থাকে। ফলে নিয়ন্ত্রণ করতে সুবিধা হয়।

৯. নতুন অভিযাত্রীদের ক্ষেত্রে কোনও অভিজ্ঞতা ছাড়া পাহাড়ে একা যাওয়ার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। প্রথমে কয়েকটি কম উচ্চতায় বেড়িয়ে আসুন। পাহাড়ি পথের সমীকরণ একটু আয়ত্ত্ব হলে বেশি উচ্চতায় যান। প্রথমবার পাহাড়ে ওঠা শুরু করলেই ভাববেন নতুন করে মোটরসাইকেল চালানো শিখছেন। তাহলে বেপরোয়া কাণ্ড কারখানা করার ইচ্ছা জাগবে না। ইন্টারনেটে কোনও ভিডিয়ো দেখে কোনও কেরামতি করার চেষ্টা করবেন না।

১০. পাহাড়ি পথে পাহাড়ি মানুষ, পথ ও অন্যান্য গাড়ি চালকদের সম্মান করুন। তাঁরাও আপনাকে সম্মান করবেন। এটাই মোটর সাইকেলে হিমালয় জয়ের সরল সূত্র।

টুকিটাকি খবর

Latest News

বিয়ের পর প্রথম জন্মদিন, তবু অনুপম বলছেন নতুন বউ-এর সঙ্গে বিশেষ পরিকল্পনা নেই…! AIFF-এর অ্যাডমিন বিভাগের মহিলা কর্মীকে হেনস্থার অভিযোগ পুরুষ সহকর্মীর বিরুদ্ধে সরকারি শিক্ষকদের কপালে নাচছে শনি, কাটবে বেতন, দফতরের পদক্ষেপ সমর্থন মন্ত্রীর ‘‌একুশ হাজার মদের দোকান বেড়েছে, এই মুখ্যমন্ত্রী মদশ্রী’‌, বেলাগাম শুভেন্দু পদবী নিয়ে বিতর্কের মাঝেই ত্রিপুরায় মনোনয়ন জমা দিলেন বিজেপি প্রার্থী কলকাতায় নয়া রেকর্ড গড়ল সোনা, ৭০ হাজার ছুঁইছুঁই হলুদ ধাতুর দাম চিনে নিন KKR-এর ১৬ বছর বয়সী রহস্য স্পিনার গজনফরকে, দেখুন চমকপ্রদ বোলিংয়ের ভিডিয়ো ‘‌অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় চাপে আছেন’‌, প্রার্থী দিতে না পেরেও দাবি করলেন দিলীপ প্রযোজকরা বলেছিলেন ভারতীয় দর্শক টিভিতে গর্ভবতী মহিলাদের দেখতে অপছন্দ করেন: মিনি নতুন দুলহানিয়া হচ্ছেন জাহ্নবী, ‘সানি কতটা সংস্কারি’ এবার সেই আপডেট দিলেন বরুণ

Copyright © 2024 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.