অনেকেই চান যে তাঁর চুল যেন একদম স্ট্রেট হয়। স্ট্রেট, স্মুদ চুল সামলাতে অত ঝামেলা পোহাতে হয় না। আবার দেখতেও সুন্দর লাগে। কিন্তু জন্মসূত্রে কতজন আর লম্বা স্ট্রেট চুল পান! ফলে অনেকেই কাঙ্ক্ষিত এই চুল পেতে পার্লার যান। কাড়ি কাড়ি গাঁটের কড়ি খরচ করে। কিন্তু আয়রন করলে চুল কিছু সময়ের জন্য স্ট্রেট হয়। আর পাকাপাকি ভাবে স্ট্রেট করতে চাইলে কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করাতে হয়। কিন্তু যাই করুন না কেন তাতে ক্ষতি চুলেরই হয়।
হেয়ার স্ট্রেটনিং করলে চুলের কী কী ক্ষতি হয় দেখে নিন।
১. হেয়ার স্ট্রেটনিং করলে চুল ভীষণ রুক্ষ হয়ে যায়। নিয়মিত হেয়ার স্ট্রেটনার, ফ্ল্যাট আয়রন, হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করলে চুলের যে ন্যাচরাল অয়েল সেটা খারাপ হয়ে যায় এবং তার কারণেই চুল রুক্ষ হয়ে যায়। এর কারণে চুল পড়ে, অকালেই চুল পেকে যায়, জট পড়ে অতিরিক্ত, ইত্যাদি।
২. চুলের ডগা ফেটে যায়। কারণ হেয়ার স্ট্রেটনিং করলে চুল রুক্ষ এবং দুর্বল হয়ে যায়।
৩. চুলের স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারিয়ে যায়। সুন্দর চুল এবং স্বাস্থ্যকর স্ক্যাল্পের জন্য চুলের আদ্রতা এবং ন্যাচরাল অয়েল থাকা প্রয়োজন। কিন্তু হেয়ার স্ট্রেটনিং করলে করলে সেটা আর থাকে না। এর ফলে চুল নিষ্প্রাণ দেখায়। নিস্তেজ হয়ে পড়ে।
৪. হেয়ার স্ট্রেটনিং করলে আগের তুলনায় অনেক বেশি চুল পড়ে। কারণ কেমিক্যাল ট্রিটমেন্ট করলে চুলের ফলিকল নষ্ট হয় তাই চুলের গোড়া আলগা হয়ে যায় এবং চুল পড়া বাড়ে।
৫. হেয়ার স্ট্রেটনিং করলে চুলের বৃদ্ধি কমে যায়। চুলের কিউটিকল ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এই কারণে চুলের বৃদ্ধির হার কমে যায় অনেকটাই।