সন্তান লালন-পালন করতে গিয়ে অনেক সময় বাবা-মা এমন ভুল করেন। যা তারা তখনই জানতে পারে যখন তারা খুব বৃদ্ধ ও অসহায় হয়ে পড়ে। অর্থাৎ শিশু যখন বড় হয়। আপনি যদি সবসময় আপনার সন্তানের মধ্যে নিজের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা বজায় রাখতে চান তবে আজ থেকেই এই অভ্যাসগুলিকে বিদায় জানিয়ে দিন। যাতে আপনার সন্তানরা বড় হওয়ার পরেও আপনাকে ভালবাসে এবং সম্মান করতে থাকে।
সবসময় জ্ঞানের কথা বলবেন না
অনেক বাবা-মায়েরই ছোট-বড় প্রতিটি বিষয়ে সন্তানদের বক্তৃতা দেওয়ার অভ্যাস থাকে। তারা কখনই শিশুদের বোঝার চেষ্টা করে না বা শিশুরা যা বলে তা বোঝার প্রয়োজন মনে করে না। বাবা-মায়ের এই ধরনের কাজ শিশুদের মনে খারাপ প্রভাব ফেলে এবং তারা সবসময় তাদের বাবা-মায়ের থেকে দূরত্ব বজায় রাখে। যার কারণে বৃদ্ধ বয়সেও তাদের ভরণপোষণ দেয় না।
নিজের ভুল স্বীকার না করা
বাবা-মাও মানুষ এবং তারাও ভুল করতে পারে। কিন্তু আপনি যদি কখনো আপনার সন্তানদের সামনে আপনার ভুল স্বীকার না করেন। সন্তানদের সামনে নিজের ভুলগুলো মেনে নিলে বাবা-মায়ের প্রতি অন্যরকম ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা দেখা যায় শিশুদের মনে।
অন্যদের সাথে তুলনা করুন
অভিভাবকত্বে এটা সবসময় শেখানো হয় যে বাচ্চাদের অন্য বাচ্চাদের সাথে তুলনা করা উচিত নয়, তা তাদের নিজের বা প্রতিবেশীরই হোক না কেন। প্রতিটি শিশু অনন্য এবং বিভিন্ন গুণাবলী আছে। অন্যদের সাথে সন্তানের তুলনা করা কেবল আত্মবিশ্বাসের স্তরকে নাড়া দেয় না বরং সন্তানকে পিতামাতার প্রতি নেতিবাচক চিন্তা করতে শুরু করে।
নিয়ম ভঙ্গ করবেন না
প্রত্যেকেই শিশুদের জন্য নিয়ম তৈরি করে কিন্তু তাদের সেই নিয়মগুলি অনুসরণ করা একটি কাজ। আপনার সন্তানদের জন্য একটি উদাহরণ সেট করুন যাতে নির্ধারিত সীমানা অতিক্রম করা যায় এবং নিয়ম ভঙ্গ না করে। যাতে তারা তাদের নিয়ম মেনে চলার ব্যাপারে আরও সিরিয়াস হয়ে ওঠে। আপনার এই কয়েকটি অভ্যাস সন্তানদের মনে বাবা-মায়ের প্রতি শ্রদ্ধা বয়ে আনে।
আপনি আপনার সন্তানদের যা বলুন, নিজে করুন
আপনি যদি বাচ্চাদের ভাল জিনিস এবং অভ্যাস শেখান, তাহলে সেগুলো করে দেখান। শিশুরা তাদের পিতামাতাকে যা করতে দেখে তা শিখে। আপনি নিজে যদি স্বাস্থ্যকর খাবার না খান এবং ব্যায়াম না করেন, তাহলে আপনি আপনার সন্তানকে সুস্থ থাকতে বলতে পারবেন না। জীবনের নিয়মের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। আপনি যদি বাচ্চাদের কাছ থেকে সম্মান চান তবে শুধু কথা বলবেন না, দেখান।