অতিরিক্ত ঘুমালে, বা অনেকক্ষণ না ঘুমিয়ে জেগে থাকলে ডার্ক সার্কেলের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর বর্তমান সময়ে এটা একটা খুব চেনা সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া অ্যালার্জি, একজিমা, জিনগত কারণে, ইত্যাদির জন্যও ডার্ক সার্কেলের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কাদের বেশি ডার্ক সার্কেল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে? বয়স্কদের, যাঁদের গায়ের রঙ চাপা, এঁদের মধ্যেই মূলত ডার্ক সার্কেলের সমস্যা দেখা যায়। কিন্তু কী করে এই সমস্যা দূর করবেন ভাবছেন তাও পুজোর আগে? দেখুন যে কোনও বাজারি প্রোডাক্ট ব্যবহার করলেই যে উপকার পাবেন এমনটা নয়। কোনও সমস্যা দূর করার জন্য সঠিক উপায় বেছে নেওয়া জরুরি। আসুন দেখা নেওয়া যাক কোন ৫ উপায়ে ডার্ক সার্কেল দূর করা যায়।
১. লেজার থেরাপি: লেজার ট্রিটমেন্ট এখন অন্যতম সমাধান হয়ে দাঁড়িয়েছে ডার্ক সার্কেল দূর করার জন্য। শুধুই যে ডার্ক সার্কেল দূর করতে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে এমনটা নয়, হেয়ার রিমুভাল থেকে ত্বকের সমস্যা সবটাই এখন লেজার ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে সারানো হয়ে থাকে। লেজার ট্রিটমেন্ট যে আমাদের স্কিন টোনকে হালকা করতে সাহায্য করে এমনটা নয়, একই সঙ্গে এটা কোলাজেন তৈরি করতেও সাহায্য করে থাকে।
২. কেমিক্যাল পিলস: এটি হচ্ছে একটি কেমিক্যাল পদ্ধতি যা ত্বকের একটি স্তর সরিয়ে ফেলতে সাহায্য করে এবং সেই স্তরের নিচে থাকা নতুন সজীব ত্বককে প্রকাশ্যে আনতে সাহায্য করে। এটি বলিরেখা, ডার্ক সার্কেল, ইত্যাদি দূর করতে সাহায্য করে থাকে।
৩. হাইড্রেটেড থাকা: সঠিক পরিমাণে জল খাওয়া উচিত। সারাদিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান। জল ছাড়াও অন্যান্য পানীয় যেমন দুধ, চা, জুস খান। এছাড়াও যথেষ্ট পরিমাণে ফল, সবজি খান, এতেও শরীরে জলের পরিমাণ ঠিক থাকবে।
৪. ফিলার্স: হাইলুরনিক অ্যাসিড যুক্ত ডার্মাল ফিলার ম্যাজিকের মতো কাজ করতে পারে যেটা চোখের নিচের চামড়ায় ইনজেক্ট করা হয়ে থাকে। ডার্মেটোলজিস্ট, বা অন্যান্য চিকিৎসক এই ইনজেকশন দিয়ে থাকেন। এটাও ডার্ক সার্কেল কমাতে সাহায্য করে।
৫. চোখের ট্রিটমেন্ট: ডার্ক সার্কেল, বলিরেখা, ইত্যাদি এগুলো মূলত হয়ে থাকে বয়সের কারণে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ছাপগুলো ফুটে ওঠে। কারণ বয়স বাড়লে আমাদের চামড়া পাতলা হতে থেকে। এই রিভাইটাল চোখের ট্রিটমেন্টে একটি নরম পিল এবং হাইড্রেশন মাস্ক ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই পিল এবং মাস্কের পর ত্বকে ভিটামিন এ, সি, এবং ই যোগ করা হয় অ্যামাইনো অ্যাসিডের সঙ্গে।