সকালে তড়িঘড়ি কাজে বেরিয়ে রাতে দেরি করে বাড়ি ফেরা, এ যেন প্রতিদিনের রুটিন হয়ে গেছে তাঁদের জন্য, যারা সারদিন বাড়ির বাইরে কর্ম ক্ষেত্রে ব্যস্ত থাকেন। বাড়িতে থাকলে যে বিশ্রাম শরীর পায়, তা পাওয়া যায় না সারাদিন বাড়ির বাইরে কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ত থাকলে।
সারাদিনের পরিশ্রমের পর দেরি করে রাতে ফেরা এবং রাত করে ঘুমানোর ফলে পর্যাপ্ত ঘুম কোনও ভাবেই হয় না। পর্যাপ্ত বিশ্রাম এবং ঘুমের অভাবে শরীরে বাসা বাঁধে একাধিক রোগ। তাহলে উপায়? কীভাবে কাটানো যায় এই ঘুমের ঘাটতি?
(আরও পড়ুন: এবার ব্যাঙ্কে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন সমকামীরাও, নমিনি হতে পারে পার্টনার)
সম্প্রতি ইউরোপিয়ান সোসাইটি অফ কার্ডিয়োলজির আয়োজিত একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, যারা সপ্তাহের শেষে একটু বেশিক্ষণ ঘুমিয়ে নেন, অর্থাৎ সপ্তাহের শেষে সারা সপ্তাহের ঘুমের চাহিদা যারা পূরণ করে নেন, তাঁদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায় প্রায় ২০ শতাংশ।
গবেষণায় ইউকে বায়ো ব্যাঙ্ক অংশগ্রহণকারী ছিলেন ৯০,৯০৩ জন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ১৯,৮১৬ জন কোনও না কোনও কাজে যুক্ত ছিলেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা বাড়িতেই থাকেন, তাঁদের শরীরে আলাদা করে কোনও সমস্যা দেখা যায়নি।
গবেষণা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যায়, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা কাজের ক্ষেত্রে সারা সপ্তাহ ব্যস্ত থাকেন কিন্তু সাপ্তাহিক ছুটিতে বেশি ঘুমিয়ে নেন, তাঁদের শরীরে হৃদরোগের আশঙ্কা ২০ শতাংশ কমে যায়। তবে যারা ছুটির দিনেও পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমিয়ে নেন না বা বলা ভালো বিশ্রাম করতে পারেন না, তাঁদের শরীরে হৃদরোগের আশঙ্কা থেকেই যায়।
(আরও পড়ুন: বাচ্চার জন্ম কীভাবে হয়েছে? মুম্বইয়ের প্রি স্কুলের আবেদনপত্র দেখে অবাক সকলে)
এই গবেষণা থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, সারাদিনে ৮ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন সকলের শরীরে। এই ঘুমের পরিমাণ যদি কোনও ভাবে ব্যাহত হয় তাহলে শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। তবে যে সমস্ত মানুষ সপ্তাহের শেষে ছুটির দিন বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেন, তাঁদের শরীরে ঘুমের চাহিদা পূরণ হয়ে যায় এবং শারীরিক সমস্যা থেকেও তাঁরা অনেক দূরে থাকেন।