মানুষ এখন আবেগতাড়িত। আবেগ যেখানে চায়, মন যেদিকে যায়, মানুষও সেই পথেই শান্তি খোঁজে। এখন আর ওই একই গতানুগতিক নিয়মে নাইন টু ফাইভ চাকরি করে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেন তাঁরা। স্বপ্ন তাঁদের একটাই, স্বাধীন ভাবে পছন্দের কেরিয়ার নিয়ে এগোবেন। সে নিজস্ব ব্যবসা শুরু করা হোক, ফ্রিল্যান্সিং করা হোক, সৃজনশীল প্রচেষ্টার পথ অনুসরণ করা হোক না কেন। একইভাবে ফিটনেস কোচ প্রিয়াঙ্কা গুপ্তাও সাফল্যের প্রচলিত ধারণার চেয়ে সুখ এবং উদ্দেশ্যকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন।
- ভাইরাল লিঙ্কডইন পোস্ট
প্রিয়াঙ্কা গুপ্তা, আইআইটি কানপুরের প্রাক্তন ছাত্রী, আইআইটি পাস করে এমএনসিতে মোটা মাইনের চাকরি করতেন। কিন্ত ফিটনেস কোচ হওয়া ছিল তাঁর স্বপ্ন। তাই ওই চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। শুরু করেছিলেন, একটি স্টার্টআপ। কেমন ছিল তাঁর স্বপ্নের পথে সফলতার জার্নি। তিনি লিঙ্কডইন-এ তাঁর এই অনুপ্রেরণামূলক গল্প শেয়ার করেছেন এবং এটি আমাদের আজকের অনুপ্রেরণা হতে পারে।
লিঙ্কডইন-এ নিয়ে তিনি লিখেছেন, আমি একটি আইআইটির পর বড় এমএনসির চাকরি ছেড়েদিয়েছিলাম। এখন আমি পেশাদারদের ফিট থাকতে এবং আরও বেশি দিন বাঁচতে সাহায্য করি। আমার অনেক সহকর্মী আইআইটি বন্ধুদের মতো, স্নাতক হওয়ার ঠিক পরে, আমি আর্থিক স্থিতিশীলতার জন্য সেই সোনার টিকিটের পিছনে ছুটতে শুরু করেছিলাম। কিন্তু সে সময় আমার পরিবারের দায়িত্ব ছিল আমার উপর। পাঁচ বছর পর, যখন আমি কাজ থেকে আমার প্রথম বিরতি নিয়ে স্বপ্নের পথে এগিয়ে আসতে চেয়েছিলাম, উদ্যোক্তারা কেউ সাপোর্ট করতে চান নি। কিভাবে জানি না, এরপর আমি বাড়িতে রান্না করা খাবার সরবরাহের ব্যবসা শুরু করতে চেয়েছিলাম। এটা শুরু হয়নি। যথেষ্ট সাহস পাচ্ছিলাম না। এবং আবার নাইন টু ফাইভ চাকরি করতে যেতে হয়েছিল। কর্পোরেট চাকরি জীবনের সবই ঠিক ছিল, কিন্তু আমার মন কিছুতেই শান্ত হচ্ছিল না, জানেন? মন এমন কিছু চাইছিল, যা শুধুমাত্র নিজেরই হতে পারে। নিজের যাত্রা সম্পর্কে আরও ব্যাখ্যা করে, তিনি লিখেছেন, ২০১২ সালে, আমি প্রথম চেষ্টাটি করেছিলাম এবং আমার প্রথম স্টার্টআপ, ইন্ডিয়াবুকস্টোর চালু করেছিলাম। কিন্তু তাও কোনওভাবে সফল হয়নি। ফার্স্ট স্টার্টআপটিও বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
আর এই অভিজ্ঞতা থেকে পাওয়া তিনটি শিক্ষা সম্পর্কে আরও জানিয়েছেন গুপ্তা।
১) আত্মা যা চায়, সেই দিকে এগিয়ে যান। টাকা অবশ্যই জরুরি। আত্মার তুষ্টি আরও উন্নতি আনে।
২) চলার পথে বাধা, কষ্ট আসবেই। তার মধ্যেই জিততে হবে। হার থেকে শিখতে হবে।
৩) স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক শান্তিও জরুরি।
প্রিয়াঙ্কা গুপ্তার এই পোস্ট দেখে অনুপ্রেরণা নিয়েছেন নেটিজেনরাও। একজন লিখেছেন, আপনার যাত্রা নিজের আবেগকে অনুসরণ করার এবং এর সঙ্গে আসা চ্যালেঞ্জগুলিকে আলিঙ্গন করার গুরুত্বের কথা বলে। আমি সম্পূর্ণরূপে একমত যে স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া সামগ্রিক সুস্থতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।