অনেক পুরুষই টাইট বা আঁটসাঁট জিন্স পরতে পছন্দ করেন। কেতাদুরস্ত তো বটেই, অনেকেরই এমন প্যান্ট পরতে আরামও লাগে। কিন্তু এই জাতীয় প্যান্ট পুরুষদের জন্য বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। এমনই বলছে হালের গবেষণা।
সম্প্রতি লন্ডন ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স-এর তরফে ২০০০ পুরুষকে নিয়ে একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছে। এই পুরুষদের প্রত্যেকেই আঁটসাঁট জিন্স পরতে পছন্দ করেন। তাঁদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে গবেষকরা কয়েকটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। নিজেদের গবেষণাপত্রে সেগুলি জানিয়েছেন তাঁরা।
যদি কোনও পুরুষ নিয়মিত টাইট জিন্স পরেন, কী হয় তাহলে? গবেষকরা বলছেন:
- মূত্রনালীর সংক্রমণ বা ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশনের হার মারাত্মক ভাবে বেড়ে যায় এর ফলে।
- মূত্রথলির পেশির ক্ষমতা কমে যায়। ফলে ঘনঘন মূত্রের চাপ বাড়তে থাকে।
- অণ্ডকোষের আকার বদলে যায়। স্বাভাবিক চেহারার বদলে অণ্ডকোষ বিকৃত হয়ে যায়।
তবে এগুলির চেয়ে বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে টাইট জিন্সের কারণে। বহু পুরুষের বন্ধ্যত্বের কারণ এই প্যান্ট। এমনই জানাচ্ছেন গবেষকরা। তাঁদের কথায়, খুব আঁটসাঁট প্যান্ট শুক্রাণুর উৎপাদন মারাত্মক ভাবে কমিয়ে দেয়। এর দু’টি কারণ: প্রথমত, অণ্ডকোষে চাপ পড়ার ফলে শুক্রাণুর উৎপাদনের হার কমে। দ্বিতীয়ত, খুব টাইট জিন্স পরলে যৌনাঙ্গের আশপাশে তাপ বাড়তে থাকে। কারণ এই এলাকায় হাওয়া চলাচল কমে যায়। এলাকাটি উত্তপ্ত হয়ে গেলেও শুক্রাণুর উৎপাদনের হার মারাত্মক ভাবে কমতে থাকে।
হালে বহু পুরুষেরই প্রজনন ক্ষমতা কমছে। স্বাস্থ্যকর যৌনসম্পর্কেও ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এর অন্যতম কারণ এই টাইট প্যান্ট। এমনই বলছেন চিকিৎসকরা। শুধু শুক্রাণু উৎপাদন কমাই নয়, ইরেকটাইল ডিসফাংশনের মতো সমস্যাও দেখা দিচ্ছে এর ফলে।
এই সমস্যা এড়াতে খুব টাইট প্যান্ট পরতে নিষেধ করছেন তাঁরা। শুধু প্যান্ট নয়, অন্তর্বাস নির্বাচন করার সময়েও পুরুষদের সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা। খুব মোটা কাপড়ের বা টাইট অন্তর্বাসও এই ধরনের সমস্যা আরও বাড়িয়ে দতে পারে।