Weekend Day Trip Near Kolkata: ঘুরতে যাব যাব করেও প্ল্যানটা করা হয়নি? তাহলে দেখে নিন ১৫ অগস্ট সোমবার কোথায় কোথায় যাওয়া যাবে। ১ দিনেই ঘুরে নেওয়া যাবে প্রকৃতির অপরূপ নিদর্শন।
1/6এখনও কোথাও ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করে উঠতে পারেননি! এদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় সবার ঘুরতে যাওয়ার ছবি দেখে মাথার চুল ছেড়ার মতো অবস্থা। এক কাজ করুন ১৫ অগস্টের দিন ভোর রাতে বেরিয়ে পড়ুন বাইক নিয়ে। ঘুরে আসুন কলকাতার কাছে থাকা এই ৫ দুর্দান্ত জায়গা থেকে।
2/6ভোর ভোর বাড়ি থেকে বেরিয়ে ঘুরে নিতে পারবেন হেনরি আইল্যান্ড। কলকাতা থেকে দূরত্ব ১৩০ কিলোমিটার। সাউথ ২৪ পরগণার এই বিচ বিখ্যাত তার নির্জনতা আর বিস্তারের জন্য। পাশেই রয়েছে বহু হোটেল। যেখান থেকে আপনি করে ফেলতে পারবেন লাঞ্চ সমুদ্রের সদ্য ধরা মাছ দিয়ে। বিকেলে বিকেল উঠে পড়ুন বাইকে, রওয়ানা দিন কলকাতার দিকে। একটা দিন খোলা আকাশের নীচে, সমুদ্রের ঢেউ গুনে মন্দ লাগবে না কিন্তু।
3/6এত দূর যেতে না চাইলে চলুন রায়চক যাওয়া যাক। গঙ্গার ধারে সময় কাটানোর আদর্শ ঠিকানা এটা। বৃষ্টি হলে আরও মনোরম হয়ে ওঠে রায়চক। কলকাতা থেকে রায়চকের দূরত্ব মাত্র ৫৪ কিলোমিটার। বাইকে সময় লাগবে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। এখানে বেশ কিছু বড় হোটেল রয়েছে। যেখানে রয়েছে ডে ট্রিপ প্যাকেজ। মানে পাবেন ব্রেকফাস্ট-লাঞ্চ আর বিকেলের টিফিন। মন্দ লাগবে না কিন্তু এটা।
4/6ঘুরে আসতে পারেন বনগাঁর পারমাদনের জঙ্গলে। বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য ঘুরে দেখতে সময় লাগে একবেলা। কলকাতা থেকে দূরত্ব মাত্র ৮০ কিলোমিটার। ১৯৯৫ সালে বিভূতিভূষণের নামে নামাঙ্কিত করা হয় এই অভয়ারণ্যকে। ইচ্ছামতীর গা ঘেঁষে শিমুল, অর্জুন, শিশু, শিরীষ গাছের জঙ্গল। রয়েছে নদীতে নৌকাবিহারের সুযোগ। রয়েছে অজস্র পাখি। ভাগ্য ভালো থাকলে হরিণের দেখাও পেতে পারেন। জঙ্গলে ঢোকার মুখে রয়েছে বেশ কিছু হোটেল। প্রবেশের আগেই হোটেলে খাবারের বুকিং করে নিন। তারপর ঘুরে বেরিয়ে লাঞ্চ সেরে রওয়ানা দিন বাড়ির পথে।
5/6শান্তিনিকেতনের লাল মাটি আপনারও ঘুম কাড়লে রাত থাকতেই ঘুম থেকে উঠুন। তারপর ফ্রেশ হয়ে রওয়ানা দিন বোলপুর, প্রান্তিকের পথে। সোজা চলে আসুন সোনাঝুরি। ঘুরে দেখুন কোপাই নদী। মন ভরে শপিং করুন। আর তারপর বাড়ি ফিরুন এক ঝলক তাজা বাতাস বুকে ভরে।
6/6বাংলার গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন গনগনিও কিন্তু বাড়ি থেকে সকালে বেরিয়ে ঘুরে ফেলা সম্ভব, আর তারপর রাতে বাড়ি। শিলাবতী নদীর তীরে বাংলার একমাত্র গিরিখাদ গনগনি। ছোট্ট শিলাবতী প্রায় সারা বছর প্রায় শুকনোই পরে থাকে। তবে বর্ষায় তার অন্যরূপ। গিরিখাদে রঙের তারতাম্য, কোথাও সাদা, কোথাও লালচে বা ধূসর। যা দু' চোখ ভরে দেখেও যেন মনের শান্তি হয় না।