দার্জিলিংয়ের অফবিট জায়গা বললেই আপনাদের মনে আসে অনেক অনেক নাম। তবে সিকিমের অফবিট জায়গা নিয়ে সেরকম জনপ্রিয়তা নেই বললেই চলে। সেই এক গ্যাংকটক অথবা লাচুন-লাচেন কিংবা বাবা মন্দির-ছাঙ্গু লেক। কিন্তু আপনি যদি একটু নির্জনে সময় কাটাতে চান চলে যান পশ্চিম সিকিমের হি-বার্মিওকে। শিলিগুড়ি থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে জোড়া গ্রাম হি-বার্মিওক। এখানে পাহাড়ের গায়ে সারি বেঁঢে দাঁড়িয়ে রয়েছে পর পর কতগুলো গ্রাম। আর বাড়িগুলো দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন ছোট ছোট দেশলাইয়ের বাক্স।
এখানে গ্রামের আনাচ-কানাচ থেকে আকাশ পরিষ্কার থাকলে চোখে পড়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা। আর এপ্রিল-মে মাসে এলে দেখা পাবেন চোখ ধাঁধানো রডোডেনড্রনের। এছাড়াও এখানে রয়েছে দারুচিনি আর কমলালেবুর গাছ। মনে জমে থাকা সব বিষাদ দূর হয়ে যাবে, কেটে যাবে ক্লান্তি। পাহাড়েরপ বুকে থাকা রাস্তা ধরে হেঁটে বেরান। হাঁটতে হাঁটতে বসে যান পথের ধারে থাকা শেড দেওয়া চাতালে। পাখির কিচিরমিচির কানে আসবে। চলে যেতেই পারেন কোনও অজানার পথে। তবে মনে রাখবেন এখানে সন্ধ্যে নামে ঝুপ করে। তাই কাছে টর্চ রাখুন। যাতে রাত নামলেও পথ খুঁজে হোটেলে বা হোম স্টে-তে ফিরে আসতে সমস্যা না হয়।
এখানকার অন্যতম আকর্ষণ সুন্দরী শিরজুঙ্গা ফলস৷ বারমিওক বাজার থেকে ঝরনার কাছে পৌঁছতে হাঁটাপথে সময় লাগে এক ঘণ্টা৷ আর রাস্তা অসাধারণ বললেও কম বলা হবে। এখানে থেকেই দেখে নিতে পারেন ছায়াতাল, হি ওয়াটার গার্ডেন, রডোডেনড্রন স্যাংচুয়ারি। হাতে সময় থাকলে দেখে নেওয়া যায় ছাঙ্গে ফলস, ডেন্টাম ভ্যালি, শিংসোর সেতুও।
কোথায় থাকবেন:
হি-বার্মিওকে রয়েছে বেশ কিছু হোম স্টে। যেখানে থাকলে পাহাড়ি মানুষের আতিথেয়তার মজা নিতে পারবেন প্রাণ ভরে। তাছাড়াও রয়েছে কালেজ ভ্যালি, সাইলেন্ট ভ্যালি কিংবা কাঞ্চন ভিউ হোটেল।
কীভাবে আসবেন:
গ্যাংটক থেকে গাড়ি ভাড়া করে যাওয়া যায় হি বারমিওক৷ সরাসরি এনজেপি থেকেও গাড়ি আসে এখানে। সঙ্গে শেয়ার গাড়ি নিতে চাইলে প্রথমে আসুন জোরথাং-এ। সেখান থেকে হি-বার্মিওক। হোটেল বা হোম স্টে-তে বললেও তাঁরা আপনাকে জোরথাং থেকে তুলে নেবে।