গোটা উত্তরবঙ্গেরই নানা প্রান্তেই আসলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অজানার হাতছানি। প্রকৃতি তাঁর রূপের ঢালি ঢেলেছে এখানে। আর কলকাতা থেকে এত কাছে যে তিন-চার দিনের একটা ছুটি পেলেই এখানে চলে আসা সম্ভব। হারিয়ে যাওয়া সম্ভব প্রকৃতির বুকে। আজ আপনাদের জন্য রইল নর্থ বেঙ্গলের এমন এক পাহাড়ি ঝরনার খোঁজ যেখানে সূর্য উঠলেই ওঠে রামধনু। যেখানে পাখির ডাক আপনার ঘুম ভাঙায়। হাতে গোনা কয়েকটা বসতি। দু'-চারটে মাত্র হোম স্টে। লোকজনের ভিড় থেকে দূরে এ এক অন্য শান্তি।
জায়গাটার নাম কালেজ ভ্যালি। রংবুলের কাছে এই জায়গা। দার্জিলিং থেকে ২০ কিমি দূরে। কালেজ পাখি দেখা যায় এখানে প্রচুর, সেই থেকেই নাম হয়েছে কালেজ ভ্যালি। চারদিকে চা বাগান আর পাইন গাছের সারি। পরিবার নিয়ে আসুন বা বন্ধুদের সঙ্গে অথবা মধুচন্দ্রিমা-- প্রকৃতিকে যদি আপনি ভালোবাসেন তাহলে এখানে আসতেই হবে।
কালেজ ভ্যালিতে রয়েছে মাত্র দুটো হোম স্টে-- কালেজ ভ্যালি কানন হোম স্টে আর রেনবো ভ্যালি রিসর্ট। দুটোই একদম চা বাগানের ধার ঘেঁষে। পাহাড়ি রাস্তা দিয়ে হেঁটে বেরোতে বেরোতেই দেখবেন কখন যেন সময় কেটে গিয়েছে। আরও পড়ুন: কলকাতার কাছে রূপসী নতুন সমুদ্রতট, ২-৩ হাজার টাকা বাজেট থাকলেই হবে
সকালের প্রাতরাশ সেরে চলে যান রেনবো ফলস দেখতে। অবশ্য এই ঝর্নার আরও একটা নাম আছে, ইন্দ্রানী ফলস। আসলে সূর্যের আলো পড়ে ঝর্নার বুকে রামধনু তৈরি হয় বলে নাম হয়েছে রেনবো ফলস। দুটো হোমস্টে থেকে রেনবো ফলসের দূরত্ব ২ কিমির মতো। হেঁটে যেতে সময় লাগবে ১ ঘণ্টার কাছাকাছি। পাহাড়ি রাস্তা ধরে ট্রেকিং করার শখ যাদের রয়েছে, তাঁদের অসাধারণ লাগবে এই অভিজ্ঞতা। হাঁটার কষ্ট ভুলিয়ে দেবে চারপাশের প্রকৃতি। আর একবার ঝর্নার কাছে পৌঁছে গেলে তো চোখ ফেরাতেই পারবেন না। সশব্দে নেমে এসেছে জলের ধারা। বর্ষায় যার রূপ আরও সুন্দর। খুব সুন্দর বাঁধিয়ে দেওয়া হয়েছে ঝর্নার পাশটা। তাই পাশে বসে জিরিয়েও নিতে পারবেন।
কীভাবে আসবেন:
আগে আপনাকে ট্রেনে করে আসতে হবে নিউ জলপাইগুড়ি বা প্লেনে বাগডোগরা। এবার সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে সোজা চলে আসতে পারেন কালেজ ব্যালি। অথবা শেয়ার গাড়িতে আসুন রংবুল পর্যন্ত। সেখান থেকে হোম স্টে-কে বলে রাখলেই তারা গাড়ি পাঠিয়ে দেবে।