পুজোর পর একটু ঘুরতে যেতে চাইছেন? তাহলে ব্যাগপত্তর গুছিয়ে চলে আসুন দার্জিলিংয়ের এই পাহাড়ি গ্রামে। আজকাল অনেকেই পাহাড়ে ছুটি কাটাতে চান, কিন্তু দার্জিলিং-গ্যাংটকের ভিড় এরিয়ে চলতেই পছন্দ করেন। সেক্ষেত্রে তাঁদের পছন্দ হয় অফবিট জায়গার কোনও হোম স্টে।
এখানে আপনি পাবেন মুক্ত বাতাস। কোনও ভিড়ভাট্টা নেই। কোলাহল নেই। আসলে এই জায়গাটা ফাঁকা আর ভিড় মিশিয়ে। মানে একেবারে যে টুরিস্টের দেখা পাবেন না তেমন নয়, আবার লোক গিজগিজও করবে না। মানে ছুটি কাটানোর জন্য ঠিক যেমনটা আমরা চেয়ে থাকি আর কি!
দার্জিলিং জেলার অবস্থিত একটি ছোট্ট গ্রাম হল এই তিনচুলে। তিনটি ছোট পাহাড়ে ঘেরা এই গ্রাম। দূর থেকে দেখে মনে হয় যেন তিনটে চুল্লি। পাহাড়ি পথ ধরে হাঁটলে পাইন গাছের সারি। আর সেখানে নানাধরনের পাখির বাস। আর তাদের কুহু কুহু ডাকে ভরে থাকে গোটা জায়গাটা।
তিনচুলের খুব কাছেই তাকদা, দূরত্ব মাত্র ৩ কিলোমিটার। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা প্রায় ৬ হাজার কিলোমিটার। ফলে সারা বছর এখানে ঠান্ডা পাবেন। বেশ আমেজ করে দেখতে পারবেন মেঘ-রোদ্দুরের খেলা। চুমুক দিতে পারবেন কফির কাপে। রাত্রে করতে পারবেন বন ফায়ার। আর দার্জিলিং থেকে দূরত্ব ৩২ কিমি। আর নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ৭০ কিমি।
তিনচুলের আরেক পজিটিভ দিক হল গাড়ি রাস্তা ধরে খুব আরামে এখানে পোঁছতে পারবেন। রাস্তার হাল ভালো। ফলে বাচ্চা বা বয়স্ক মানুষ থাকলেও আসতে পারবেন এখানে। জল বা বিদ্যুতের কোনও সমস্যা নেই। ফোনের কানেকশনও পাবেন। মানে সপরিবারে আসার জন্য এটা এক্কেবারে আদর্শ। আর অনেকেই দাবি করেন আকাশ পরিষ্কার থাকলে কাঞ্চনজঙ্ঘার যে ভিউ এখান থেকে পাওয়া যায়, তা নাকি টাইগার হিলেও নেই।
কীভাবে যাবেন:
কাছের এয়ারপোর্ট বাগডোগরা। আর ট্রেন স্টেশন নিউ জলপাইগুড়ি। গাড়ি ভাড়া করে আসতে সময় লাগবে ঘণ্টা তিন। আর আসার পথে আপনি ঘুরে নিতে পারবেন তিস্তা ভ্যালি, তাকদা, লামাহাটা।
কোথায় থাকবেন:
তিনচুলের সবচেয়ে জনপ্রিয় থাকার জায়গা হল রাই রিসর্ট। এই রিসর্টের মধ্যেই রয়েছে একটা ভিউ পয়েন্ট। যেখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার পুরো রেঞ্জ চোখে পড়ে। তবে এটি একটু খরচসাপেক্ষ। এছাড়াও রয়েছে ওয়াও পুনম হোমস্টে, অভিরাজ হোমস্টে, গুরুং গেস্ট হাউজ, তিনচুলে হিমলয়ান হোমস্টে। প্রতিটাতেই থাকা-খাওয়া নিয়ে মাথাপিছু একজনের খরচ পড়বে ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা মতো একর