শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সবেমাত্র চাকরি পেয়েছেন। অফিস যেতেই বসের নির্দেশ, সকালের খাবার কিনে আনতে হবে। কিন্তু এটা তো মহিলার আসল কাজ নয়। তাই নতুন চাকরি জয়েন করেই বিবাদ বাঁধিয়ে বসেন মহিলা কর্মচারী। সকালের খাবার আনতে বললে 'না' করেন। নতুন কর্মচারীর এমন আচরণে ক্ষুব্ধ কোম্পানি, তাঁকেই কাজ থেকে ছাঁটাই করে।
বস এবং কর্মচারীর মধ্যে বিবাদ সাধারণ। অনেক সময় কর্মচারীরা বসের স্বেচ্ছাচারিতায় বিরক্ত হয়ে যান। অনেক সময় কর্মচারীদের ভুলের কারণে বস রেগে যান। এবার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটাই দেখা যায় যে একজন কর্মচারী, তাঁর বস সম্পর্কে কোম্পানির কাছে অভিযোগ করলেই কপাল পোড়ে তাঁরই। ওই কর্মচারীকে তাঁর চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দেওয়া হয়। আর সম্প্রতি চিনের ওই কোম্পানিতে এমনই কিছু ঘটল।
আরও পড়ুন: (Durga Puja 2024: টালা বারোয়ারির মণ্ডপে এবার হীরক রাজের সভা! উদয়ন পণ্ডিত থাকবেন ?)
যদিও কোম্পানি থেকে ওই কর্মীকে বরখাস্ত করার পর, এমন আচরণ করার জন্য, সবাই রেগে যান। যার দরুণ বাধ্য হয়ে কোম্পানিকে নিজের সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নিতে হয়েছিল। জানা গিয়েছে, এদিন সাংহাইয়ের এক মহিলাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় কারণ তিনি নিজের বসের জন্য সকালের খাবার কিনতে অস্বীকার করেন। ওই মহিলার নাম, উপনাম লু। এই মহিলা কর্মচারীই বসের জন্য সকলের চা ও ডিম আনতে না চাওয়ায়, তাঁকে কাজ থেকে বের করে দেওয়া হয়।
আসল কাণ্ড এটি
এদিন, চিনা সোশ্যাল মিডিয়ায় লু নিজের গল্প শেয়ার করেছেন। লু বলেছিলেন যে তিনি কারও পার্সোনাল এসিস্টেন্ট বা ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন না। তবুও তাঁর কাছ সুপারভাইজার তাঁকে প্রতিদিন একটি 'গরম আমেরিকানো এবং একটি ডিম' আনতে বলতেন। পাশাপাশি বসও তাঁকে বারবার জলের বোতলে ভরতে বাধ্য করতেন। লু এরপর হিউম্যান রিসোর্স ডিপার্টমেন্টে, তাঁর সঙ্গে নিত্যদিন ঘটে যাওয়া এই ব্যাপারটি জানিয়ে দেন। যার ফলে এইচআর তাঁকেই তিরস্কার করে বসেন। কোনও নোটিশ না দিয়ে, টাকা না দিয়েই চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয় লুকে।
আরও পড়ুন: (Bizarre: ১ হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজেই সব শেষ মহিলার! এই কারণে তছনছ হয়ে গেল ক্রুজে চড়ে বিশ্ব ভ্রমণের স্বপ্ন)
এরপর, লু-এর পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে, নেটিজেনরা কোম্পানির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করতে শুরু করেন। সংস্থাটির দিকে ট্রোলের তির ছুটতে শুরু করে। যার পরে কোম্পানিকে এক প্রকার বাধ্য হয়েই ব্যাকফুটে আসতে হয়। কোম্পানি একটি বিবৃতিও জারি করেছে এবার। সেখানে বলেছে যে লুর সুপারভাইজার নিজের কর্তৃত্বের অপব্যবহার করেছেন। ব্যক্তিগত সাহায্য চাওয়া অন্যায়। এর পর ওই সুপারভাইজারকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় এবং লু ওই কোম্পানিতে আবার ফিরে আসেন।
লু একা নন। চিনে এমন অনেক কর্মচারীর সঙ্গেই নাকি দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। এমনই অভিযোগ উঠেছে। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চিনে প্রায় ৬৪ শতাংশ কর্মচারী বলেছেন, অফিসে তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁদের অনুপযোগী কাজ করতে বাধ্য করা হয়, মৌখিক নির্যাতন হয়। এমনকি অনেককে যৌন হয়রানিও সহ্য করতে হয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।