কাশি, সর্দির সিরাপ ও ওষুধ সবেমাত্র দোকানে দিয়ে গিয়েছে ওষুধ সরবরাহকারী। দোকানের তাকে সেসব তুলে রাখার সময়ও পাননি সুরেশবাবু। একগাদা ক্রেতার ভিড়। সবারই চাহিদা ওইগুলি। সবার দাবি মিটিয়ে দোকান একটু ফাঁকা হতে দেখা গেল, ওষুধ আর বেশি নেই। যা এসেছিল তার সিংহভাগ ফাঁকা হয়ে গিয়েছে গত ১৫-২০ মিনিটে!
আরও পড়ুন: শহরে বাড়ছে অ্যাডিনোভাইরাস সংক্রমণ! কোন কোন বিষয় ভুললে চলবে না? নাহলেই বিপদ
এটা শুধু ওই ওষুধ দোকানের গল্প নয়। সম্প্রতি সারা বাংলারই এই হাল। ঋতুবদলের মরশুম শুরু হয়েছে। ঘরে ঘরে এখন জ্বর সর্দি কাশি। এর মধ্যেই আবার অ্যাডিনোভাইরাসের প্রকোপ। এই অবস্থায় ওষুধের দোকানে হু হু করে বিক্রি হচ্ছে জ্বর সর্দির ওষুধ, কাশির সিরাপ। কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া, হুগলির বেশিরভাগ ওষুধের দোকানে এখন এমনটাই হাল।
দক্ষিণ কলকাতার স্নেহলতা ফার্মেসির মালিক নিখিল সাহা হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে বলেন, ‘গত কয়েক সপ্তাহে জ্বর সর্দির ওষুধ বিক্রি তুঙ্গে উঠেছে। দেদার বিকোচ্ছে এই ওষুধগুলি। অনেকে তো একটির বদলে ২ থেকে ৩টি ফাইল একসঙ্গে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আশঙ্কা, যদি ওষুধের স্টক সময়মতো না পাওয়া যায় ।’
আরও পড়ুন: শিশুদেরও বাড়ছে অ্যাডিনোভাইরাসের সংক্রমণ, হাসপাতালের বেডে টান, কী বলছেন চিকিৎসকরা
কোন কোন ধরনের ওষুধ বেশি বিক্রি হচ্ছে?
এমনটাই জানতে চাওয়া হয়, উত্তর কলকাতার বৈশাখী কেমিস্ট ও ড্রাগিস্টের ধীরাজ গোস্বামীর কাছে। উত্তরে তিনি বলেন, ‘অ্যাজিথ্রোমাইসিন গ্ৰুপের ওষুধ বিক্রি অনেকটাই বেড়েছে গত সপ্তাহ থেকে। এছাড়াও সেফপোডক্সিমিন গ্ৰুপের ওষুধও কিনছেন অনেক রোগী। জ্বর সর্দি কাশি হলেই চিকিৎসকরা এমন কয়েকটি ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। পাশাপাশি এই দুই ওষুধের মিশ্রণ ক্ল্যারিথ্রোমাইসিনও খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন অনেক চিকিৎসক। বছরের অন্য সময় এতটা চাহিদা থাকে না। তাই এখন বেশি বেশি করে ওষুধ আনিয়ে রাখতে হচ্ছে!’ এই ওষুধগুলি মূলত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের বিরুদ্ধে কাজ করে। এছাড়াও ফুসফুসে শ্বাস নিতে অসুবিধা হলে তারও চিকিৎসা করে। দেখা যাচ্ছে ঋতু বদলের সময় এই ওষুধগুলির চাহিদাই অনেকটা বেড়ে গিয়েছে।
কেন বাড়ছে চাহিদা?
ধীরাজ বলেন, ‘সাধারণ জ্বর সর্দি কাশি হলেও অনেকেই ভয় পাচ্ছেন অ্যাডিনোভাইরাসের। এর জন্য হাসপাতালেও ভর্তি হতে হচ্ছে। তাই চিকিৎসককে দেখিয়ে আগে থেকেই ওষুধ খেয়ে সেরে ওঠার চেষ্টা করছেন রোগীরা। বাড়িতেই যাতে সুস্থ হয়ে ওঠা যায়, সেদিকেই নজর দিচ্ছেন সবাই।’
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup