সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সন্তানের শাসন করা, তাদের বকাঝকা এবং নানা কিছু শেখানোর ক্ষেত্রে বাবা-মায়েদের নতুন ধনের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন সন্তানদের বেশি বকাঝকা বা শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রেও সচেতন হতে বলছেন তাঁরা। বলছেন, এতে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কাই বেশি। আধুনিক যুগে বাবা-মায়দের এই বিষয়টি নিয়ে সচেতনতাও বাড়ছে। কিন্তু সবার যে বাড়ছে না, তার প্রমাণ দিলেন এক দম্পতি। তাঁরা তাঁধের সন্তানকে ভয়ঙ্কর এক শাস্তি দিলেন। সন্তানের অপরাধ, সে বেশি ক্ষণ টিভি দেখেছিল।
হালে এই ঘটনাটি ঘটেছে চিনে। এক দম্পতি তাঁদের ৮ বছরের শিশু পুত্রকে বাড়িতে রেখে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন। বেরোনোর সময়ে, ছেলেকে কিছু পড়াশোনা করে রাখতে বলেছিলেন। কিন্তু তাঁরা বাড়ি এসে দেখেন, সেই শিশুটি পড়াশোনা করেনি। বরং পুরো সময়টিই টিভি দেখে কাটিয়েছে। তাতেই মাথা গরম হয়ে যায় তাঁদের।
এর পরে কী করেন তাঁরা? তাঁরা সন্তানকে শাস্তি দেন। সেই শাস্তিটি হল— এবার টানা টিভি দেখে যেতে হবে। টিভির সামনে থেকে ওঠা যাবে না। খাবার খাওয়া যাবে না। বাথরুমে যাওয়া যাবে না। ঘুমোনো যাবে না। শুধু টিভিই দেখতে হবে।
সোশ্যাল মিডিয়া সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দিকে শিশুটি কিছু না ভেবেই টিভি দেখতে শুরু করে। এর পর রাত গড়িয়ে মাঝ রাতে পৌঁছোয়। শিশুটি আর তাকিয়ে থাকতে পারছিল না। কিন্তু তাতেও তাকে ছাড়েননি তার বাবা-মা। ঘরে জোর আলো জ্বেলে তার ঘুম কাটানোর ব্যবস্থা করা হয়। এবং সে যাতে কোনও মতেই ঘুমোতে না পারে, তার সব রকম ব্যবস্থা শুরু হয়।
ভোর রাতের দিকে শিশুটি কাঁদতে শুরু করে। এবং শেষ পর্যন্ত অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
একটি শিশুকে এমন মারাত্মক শাস্তি দেওয়া হয়েছে জেনে বহু মানুষই রেগে গিয়েছেন। তা সে যতই বাবা-মা শাস্তি দিয়ে থাকুন না কেন, তাঁদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরাট সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলেছেন, পৃথিবীর নানা প্রান্তে এভাবেই শিশুরা বাবা-মায়ের দ্বারাই অত্যাচারিত হয়। অবিলম্বে এর প্রতিকার দরকার বলে মনে করেন তাঁরা।
ইতিমধ্যেই ওই দম্পতির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা চলছে বলে জানা গিয়েছে। আগামী দিনে এই ধরনের পরিস্থিতি রুখতে আইন আার দাবিও তোলা হয়েছে নানা মহলে।