বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > UNESCO Heritage List: দুর্গাপুজো ছাড়া আর কোন কোন সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য জায়গা পেল ইউনেসকোর তালিকায়, জেনে নিন
দুর্গাপুজো ইউনেসকোর ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি’-র তালিকায় ঢুকে পড়ল এ বছর। এর পাশাপাশি নানা দেশ মিলিয়ে আরও ৩০টি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য জায়গা পেল এই তালিকায়। তাছাড়াও আরও চারটির কথা আলাদা করে উল্লেখ করা হয়েছে এই তালিকায়। সেগুলিকে রক্ষা করার দিকে নজর দিতে বলা হয়েছে।
কোন কোন সাংস্কৃতিক ঐহিত্য এ বছর জায়গা পেল ইউনেসকোর তালিকায়? রইল নাম।
- আল-কুয়োদোউদ আল-হালাবিয়া (সিরিয়ান আরব রিপাবলিক): বহু বছর ধরে চলে আসা সঙ্গীত। মূলত আলেপ্পো থেকেই জন্ম এই সংস্কৃতির।
- আরবের ক্যালিগ্রাফি (পূর্ব এশিয়ার বহু দেশ): আরবি হরফে লেখার বিশেষ কৌশল।
- জো ডান্স (ভিয়েতনাম): ভিয়েতনামের শতাব্দীপ্রাচীন নাচ। যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানে নাচা হয়।
- চিবু জেন (সেনেগাল): মাছের বিশেষ পদ। সেনেগালের মানুষের অত্যন্ত পছন্দের খাবার।
- কাম্পো মায়োর (পর্তুগাল): সে দেশের বিশেষ উৎসব। বিরাট সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন এতে।
- রাম্বা (কঙ্গো): ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গো এবং দ্য রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গোর অন্যতম জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। এর কেন্দ্রে থাকে নাচ।
- কর্পাস ক্রিস্টি (পানামা): জিশু খ্রিস্টের জন্মদিন পালন করার জন্য এই উৎসব। এরও প্রধান আকর্ষণ নাচ।
- দুতার সঙ্গীত (তুর্কমেনিস্তান): ওই দেশের জনপ্রিয় বাদ্যযন্ত্র এই দুতার। সেটি তৈরি এবং তার সঙ্গীত— সবই স্থান পেয়েছে তালিকায়।
- ফলক (তাজিকিস্তান): স্থানীয় সঙ্গীত। মূলত তাজিকিস্তানের পাহাড়ের মানুষ এটির চর্চা করেন।
- ফ্যালকনি (এশিয়া এবং ইউরোপের বহু দেশ): বড় মাপের পাখি পোষা, তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কায়দা।
- সেন্ট জন দ্য ব্যাপটিস্ট সেলিব্রেশন (ভেনেজুয়েলা): অষ্টাদশ শতক থেকে চলে আসা উৎসব।
- জিরি (বাহরিন): প্রায় দু’শো বছরের পুরনো গানের উৎসব। সমুদ্রে মুক্তোর সন্ধানে যাঁরা যেতেন, তাঁরা এই সঙ্গীতচর্চা শুরু করেন।
- গামেলান (ইন্দোনেশিয়া): এক বিশেষ ধরনের তালবাদ্যকে কেন্দ্র করে সঙ্গীতের অনুষ্ঠান।
- তারিজা (বলিভিয়া): তারিজা শহরে এই উৎসব চলে আসছে কয়েক শতক ধরে। গানবাজনা, নাচ— এর প্রধান আকর্ষণ।
- হুসন-ই হাত (তুরস্ক): বিশেষ ধরনের হস্তশিল্প। মূলত বিশেষ কায়দায় লেখা হরফ থেকেই এই শিল্পের শুরু।
- ইনুইট ড্রাম ডান্সিং (ডেনমার্ক): শুরু হয়েছিল গ্রিনল্যান্ডে। এখন মূলত ডেনমার্কেই টিকে রয়েছে এই তালবাদ্যের সঙ্গীত এবং তার সঙ্গে নাচ।
- কাউসতিনেন সঙ্গীত (ফিনল্যান্ড): সে দেশের প্রাচীন সঙ্গীত শিল্প। বেহালা-সহ এই সঙ্গীতের চর্চা হয়। বয়স পেরিয়ে গিয়েছে ২৫০ বছরেরও বেশি।
- এল-আনা (মাল্টা): মাল্টার শতাব্দীপ্রাচীন লোকসঙ্গীত। মূলত তিনটি ভাগ রয়েছে এর। সব ক’টিই অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তালিকায়।
- মালাগাসি কাবারি (মাদাগাসকার): দর্শকদের সামনে বিশেষ কায়দায় কবিতাপাঠ। এটিও সে দেশের দীর্ঘ দিনের সংস্কৃতি।
- মউতিয়া (সেশেলৎস): প্রাচীন নৃত্যকলা। ফরাসি উপনিবেশে শুরু হয়েছিল এই নাচ। এখনও টিকে আছে।
- নোরা (থাইল্যান্ড): সে দেশের দক্ষিণ ভাগে অত্যন্ত জনপ্রিয় এই নাচ। বয়সও পেরিয়েছে বহু শতাব্দী।
- ক্লিংকার বোট (স্ক্যান্ডিনেভিয়া): কাঠের তৈরি ছোট্ট নৌকা। ইউরোপের উত্তরের দেশগুলিতে অত্যন্ত জনপ্রিয়। এটি তৈরির কৌশলকে রাখা হল তালিকায়।
- পাসিল্লো (ইকুয়েডর): নাচ এবং গান মিশিয়ে বিশেষ সঙ্গীতশিল্প। প্রায় ২০০ বছর ধরে চলে আসছে এই শিল্পটি।
- আওয়াজুনের মাটির কাজ (পেরু): উত্তর পেরুর আওয়াজুন জনজাতির মাটির কাজের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয় তাদের ইতিহাস। সেই শিল্পকে রাখা হল এই তালিকায়।
- সংকেত (মালয়েশিয়া): বিশেষ ধরনের কাপড় বোনার কৌশল। বহু বছর ধরে চলে আসছে এই শিল্পকলা।
- বউরিদা (মরোক্কো): এক সময়ে ছিল সেনাদের কুচকাওয়াজ। এখন সেটিই শিল্পের চেহারা পেয়েছে। ঘোড়ার পিঠে চেপে নানা কায়দায় কুচকাওয়াজ করেন শিল্পীরা। শিল্পমাধ্যমটির বয়স ৫০০ বছরেরও বেশি।
- সুতোর কাজ (প্যালেস্তাইন): বহু প্রাচীন এক শিল্প। সে দেশের মহিলারাই মূলত বাঁচিয়ে রেখেছেন একে।
- আল-নাউর (ইরাক): ইউফ্রেটিস নদীর জল চাষের জমিতে পাঠাতে আদি যুগে তৈরি হয়েছিল কাঠের চাকা। বিশেষ ধরনের সেই চাকা নির্মাণশিল্পও রয়েছে তালিকায়।
- দুমবারা রাতা কালালা (শ্রীলঙ্কা): বিশেষ ধরনের চাটাই। দেশের হস্তশিল্পের অন্যতম বড় নিদর্শন।
- ভিসোকো (বুলগেরিয়া): এটিও বিশেষ ধরনের সঙ্গীতশিল্প। টিকে রয়েছে কয়েক শতক ধরে।
এই তালিকার বাইরেও ইউনেসকোর তরফে আরও চারটি ঐতিহ্যকে রাখা হয়েছে এই তালিকায়। বলা হয়েছে, সেগুলি ক্ষয়িষ্ণু এবং সেগুলির রক্ষণাবেক্ষণ দরকার।
- সুমার নৌকা (এসতোনিয়া): ওই দেশের সুমা প্রদেশের মানুষ এই বিশেষ নৌকা বানাতেন। একটি মাত্র গাছের গুঁড়ি কেটে, তার ভিতর পরিষ্কার করে বানানো হত এই নৌকা। এখন বেশ কমে গিয়েছে এই নৌকাশিল্পীর সংখ্যা।
- ক্যারোলিনিয়ান নৌকা (মাইক্রোনেশিয়া): এটিও বিশেষ ধরনের নৌকা তৈরির কৌশল। এখন অবলুপ্তির পথে।
- এমবোলোন (মালি): ওই দেশের বিশেষ তালবাদ্য। গানের সঙ্গে এক সময় বিপুল পরিমাণে ব্যবহার হত। এখন নির্মাণশিল্পীর অভাবে অবলুপ্তির পথে এই বাদ্যযন্ত্র।
- তাইস (তিমর-লেস্তে): এক বিশেষ ধরনের কাপড় বোনার কৌশল। এখন আর খুব বেশি মানুষ এই ধরনের কাপড় ব্যবহার করেন না। শিল্পীর সংখ্যাও কমে এসেছে। যাঁরা আছেন, তাঁদেরও অনেক বয়স।
টুকিটাকি খবর