ডায়াবিটিস এমন এক রোগ যা ধীরে ধীরে আমাদের শরীরের সমস্ত অঙ্গকে খারাপ করে দেয়। তবে আপনি যদি নিয়ম মেনে চলেন, সমস্ত ওষুধ খান, সঠিক খাবার খান, সঠিক ভাবে জীবনযাপন করেন তাহলে অবশ্য চিন্তার বিষয় নেই তেমন। কিন্তু চিন্তা নেই বললেই কি আর হয়? নিয়ন্ত্রণে থাকলেও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যায় না সুগার। এই রোগ হলে জল তেষ্টা পায় বারবার, সঙ্গে বাড়ে প্রস্রাবে যাওয়ার প্রবণতা। এছাড়া বারবার খিদে পায়, ক্লান্তি বোধ হয়, ক্ষত চট করে শুকাতে চায় না। এগুলো হচ্ছে ডায়াবিটিসের মূল লক্ষণ। তবে এগুলো ছাড়াও গায়ের গন্ধ থেকেও বলে দেওয়া যায় আপনার প্রিয় মানুষটার ডায়াবিটিস হয়েছে কিনা। কারণ যাঁদের ডায়াবিটিস হয়ে থাকে তাঁদের রক্তে কিটোন অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি থাকে।
কী এই কিটোন অ্যাসিড?
সঠিক পরিমাণে ইনসুলিন যদি রক্তে না থাকে তাহলে শরীর শক্তি পায় না। এর ফলে শক্তি উৎপাদন করার জন্য যকৃৎ সমানে স্নেহ জাতীয় একটি পদার্থ ভাঙার চেষ্টা করে। আর সেই কারণেই তৈরি হয় কিটোন অ্যাসিড। আর এই অ্যাসিড তৈরি হলে সেটা রক্ত এবং প্রস্রাবের মধ্যে বাড়তে থাকে। যার কারণে রক্তের পিএইচের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এছাড়াও শ্বাস প্রশ্বাস এবং ঘামের গন্ধের মাধ্যমে জানান দেয়। যার কারণে ঘামের গন্ধে কখনও ঝাঁঝাল অ্যামোনিয়া, কখনও বা ফল অথবা মলের গন্ধ বেরোয়।
যাঁদের ডায়াবিটিস ১ কিংবা ২ থাকে তাঁরা যেমন কিটোঅ্যাসিডোসিসে আক্রান্ত হতে পারেন তেমনই যাঁদের ডায়াবিটিস নেই তাঁরাও এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকলে যখন শরীরে গ্লুকোজের অভাব দেখা দেয় তখন শরীর শক্তি পাওয়ার জন্য কিটোজেনেসিস প্রক্রিয়া শুরু করে। তাই সঠিক খাবার এবং পরিমিত কার্বোহাইড্রেট যুক্ত খাবার খাওয়া ভীষণই জরুরি শরীরে সুগারের লেভেল ঠিক রাখার জন্য।