দু’বছর হয়ে গিয়েছে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবী জুড়ে। প্রথম দিকে যেমন আতঙ্ক ছিল, এখন তার অনেকটাই কমে গিয়েছে। এই দু’বছরে করোনা নিয়ে কম পরীক্ষানিরীক্ষা হয়নি। কী কী জানা গিয়েছে তাতে? কোথা থেকে এসেছিল করোনা? কবেই বা শেষ হবে এটি? কী বলছেন বিজ্ঞানীরা?
হালে এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম WHO-র বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথনকে জিজ্ঞাসা করেছিল এই বিষয়ে।
কোথা থেকে এসেছে করোনা?
সৌম্য স্বামীনাথনের মতে, যে কোনও অতিমারির শুরু হয় যখন একটি জীবাণু অন্য কোনও প্রাণীর শরীর থেকে মানুষের শরীরে চলে আসে। তার জিনগত গঠনে বদল হয়, সেটি সংক্রমিত হতে থাকে অন্য মানুষের মধ্যে। তাঁর কথায়, এখনও পর্যন্ত যা আন্দাজ, তাতে বাদুড় থেকেই এসেছে কোভিডের জীবাণু। কিন্তু স্পষ্ট করে এখনও পুরোটা বোঝা যায়নি।
এত দিনেও কেন পুরোটা স্পষ্ট করে বোঝা যায়নি, সে প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সৌম্য স্বামীনাথন বলেছেন, যে কোনও জীবাণুরই সূত্র খুঁজে পেতে বেশ কয়েক বছর লাগে। SARS যেমন ভামবিড়াল থেকে, MERS যেমন উট থেকে এবং HIV যেমন শিম্পাঞ্জি থেকে এসেছে, সেগুলি বুঝতেও বহু বছর লেগে গিয়েছিল।
তাহলে কি চিনের ল্যাব থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে?
সৌম্য স্বামীনাথন বলেছেন, কোনও তত্ত্বই উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু তাঁর মতে, যাঁরা করোনার উৎসস্থলটি পরীক্ষা করেছেন, তাঁরা এখনও পর্যন্ত যা প্রমাণ পেয়েছেন, তা থেকে মনে করা হচ্ছে, এটি সরাসরি কোনও প্রাণীর থেকেই এসেছে।
কবে শেষ হবে অতিমারি?
এটিই এখন সব চেয়ে বড় প্রশ্ন। এই প্রশ্নের উত্তরে সৌম্য স্বামীনাথন বলেছেন, এখনই এই প্রসঙ্গে কোনও পাকা উত্তর দেওয়া উচিত হবে না। তবে যেভাবে আমরা চলছি, তাতে চলতি বছরের শেষে এই বিষয়ে পাকাপোক্ত উত্তর দেওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হতে পারে।
তবে তাঁর আশঙ্কা, যদি হঠকারিতার কারণে আবার একটা নতুন ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হয়ে যায়, তাহলে আবার আমাদের গোড়া থেকে সব কিছু শুরু করতে হবে।