নারী শরীর কতটা সুস্থ আছে, তাতে কোনও বড় রোগ বাসা বেঁধেছে কি না, বুঝে যাবেন পিরিয়ডস দিয়েই। নানা গবেষণায় উঠে এসেছে, একজন নারীর কতদিন পিরিয়ডস হচ্ছে, কী রঙের ব্লাড জমা হচ্ছে আপনার প্যাডে, তা দেখেই বলে দেওয়া সম্ভব আপনার শরীর আদৌ সুস্থ আছে কি না। বিশেষ করে কোনও জটিল রোগ শরীরে বাসা বেঁধেছে কি না, সেটাও জেনে নিতে পারবেন। খেয়াল করলেই দেখবেন, পিরিয়ডসের রং কখনও গাড় লাল, কখনও খয়েরি আবার কখনও কালচে। আর রক্তের রঙের এই পরিবর্তন থেকেই ধরে ফেলা সম্ভব শরীরের নানা সমস্যা।
উজ্জ্বল লাল
পিরিয়ডসের শুরুর সময়টা সাধারণত ঋতুস্রাবের রং একদম টকটকে লাল দেখায়। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু পরের দিকগুলোতেও যদি একদম লাল, তাজা রক্তের রঙের ঋতুস্রাব হয় তাহলে গাইনোকলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, ক্লামিডিয়া (chlamydia) এবং গনারিয়া (gonorrhea)-র মতো সংক্রমণের কারণে যেমন উজ্জ্বল লাল রঙের রক্তক্ষরণ হতে পারে, তেমনই ফাইব্রয়েডস (fibroids)-এর কারণেও এমন ঘটনা ঘটে থাকে।
গাঢ় লাল
পিরিয়ডসের শেষের দিকে রক্তের রং একটু বেশি রকমেরই গাঢ় হয়। এটা একেবারেই স্বাভাবিক ঘটনা। এতে ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
কালচে লাল
পিরিয়ডসের মাঝামাঝি সময়ে অনেকেরই কালচে রঙের ঋতুস্রাব হয়। এটা নিয়ে বেশি ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কারণ, অনেক সময় জরায়ু থেকে রক্ত যখন একটু দেরি করে বেরোয়, তখন রক্তের রং এমন হয়। তবে, একটানা কয়েক মাস ধরে কালচে রঙের ঋতুস্রাব হলে একবার ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
কমলা ঘেঁষা
ঋতুস্রাব যদি কমলা ঘেঁষা হয় তাহলে বুঝতে হবে আপনার যৌনাঙ্গে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন অথবা Sexually Transmitted Infection হয়েছে। যার ফলে আপনার শরীর থেকে নির্গত রক্তের রং বদলে গিয়েছে। এক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
হালকা গোলাপি
রক্ত যখন সার্ভিকাল ফ্লুইডের সঙ্গে মিশে যায়, তখন রক্তের রং গোলাপি হয়। এটা সাধারণত শুরুর দিকে বা শেষের দিকে হয়ে থাকে। আবার শরীরে ইস্ট্রোজেন লেভেল কমে গেলেও রক্তের রং গোলাপি হয়ে যায়। তাই একটানা এরকম হলে গাইনোকলজিস্টের কাছে অবশ্যই যাবেন।