কথায় আছে, কোনও ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলছে কিনা তা বুঝতে হলে তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন। বুঝে যাবেন, ওই ব্যক্তি মিথ্যাবাদী কিনা। কিন্তু এমন অনেক মানুষ রয়েছেন যারা খুব সহজে মিথ্যা কথা বলে দেয় এবং বোঝাও যায় না। তবে আজ এই প্রতিবেদনে এমন টি লক্ষণের কথা জানুন, যাতে আপনি বুঝতে পারেন আপনার উল্টো দিকের ব্যক্তি আপনাকে মিথ্যা কথা বলছে কিনা।
হাবভাব: একজন মানুষ মিথ্যে কথা বলছে কিনা তা বোঝা যায় তার মুখের অভিব্যক্তি, গলার স্বর শুনলে। যারা মিথ্যা কথা বলে তারা সবসময় নিজেকে আচমকা গুটিয়ে ফেলে, কারোর সামনে ধরা দিতে চায় না। এই পরিবর্তন দেখলেই বুঝতে পারবেন আপনার উল্টো দিকের মানুষ মিথ্যে কথা বলছে।
(আরও পড়ুন: একসঙ্গে থেকেও সঙ্গীর থেকে দূরত্ব অনুভব করছেন? নিজেদের মধ্যে আগ্রহ বাড়াবেন কীভাবে)
চোখমুখের অভিব্যক্তি: যে মিথ্যা কথা বলে তার মুখের অভিব্যক্তি কয়েক সেকেন্ডের জন্য হলেও পাল্টে যায়। আপনি যদি ভালোভাবে লক্ষ্য করেন তাহলেই বুঝতে পারবেন উল্টো দিকের মানুষটি মিথ্যা কথা বলছে কিনা। সচরাচর যারা মিথ্যা কথা বলে তাদের গালে ফুটে ওঠে লাল আভা। এছাড়া নাকের ছিদ্র প্রশস্ত হয়ে যাওয়া, জোরে জোরে নিঃশ্বাস নেওয়া, ঘনঘন চোখ পিটপিট করা বা ঠোঁট কামড়ানো দেখলে আপনি বুঝতে পারবেন ওই ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলছে।
হাসি: নির্ভেজাল হাসি যে মানুষ হাসে তার মুখের সাথে সাথে চোখেও ফুটে ওঠে হাসির অভিব্যক্তি। কিন্তু মেকি হাসি যে হাসে, সে অট্টহাসি হাসলেও সে যে কিছু লুকানোর চেষ্টা করছে তা আপনি বেশ ভালোভাবেই বুঝতে পারবেন।
কণ্ঠস্বর পরিবর্তন: আপনাকে কেউ যদি মিথ্যা কথা বলে তাহলে তার কণ্ঠস্বর আচমকাই পাল্টে যাবে। এছাড়া ঘনঘন নিঃশ্বাস নিলে বুঝতে পারবেন সে মনে কিছু লুকিয়ে রেখেছে।
(আরও পড়ুন: ভারতীয়রা রোগে জর্জরিত! মানুষকে বাঁচাতে বিপুল খরচ করতে হবে, দাবি চিকিৎসকদের)
শব্দ চয়ন: যে মানুষ মিথ্যা কথা বলে সে কিন্তু ‘সেটাও না’, ‘যেখানে’, ‘অন্যদিকে’, ‘যেহেতু’-এই কথাগুলি এড়িয়ে চলে। কম ব্যবহার করে ‘আমি’, ‘আমাকে’, ‘আমরা’ জাতীয় শব্দ। উল্টো দিকের মানুষ মিথ্যে কথা বলে এই কথাগুলি একেবারেই তারা বলবে না।
অচেনা আচরণ: মিথ্যেবাদী যারা হয় তাদের রেট অফ স্পিচ যদি খেয়াল রাখেন, তাহলেই বুঝতে পারবেন আসলে সত্যি কি। এক মিনিটে মানুষের উচ্চারিত শব্দ সংখ্যার গড়কে বলা হয় ‘স্পিচ রেট’। এছাড়া হাতের ইশারা, দেহ ভঙ্গি যদি হঠাৎ করে পাল্টে যায় তাহলে বুঝতে হবে ডাল মে কুচ কালা হে।