অনলাইন ডেটিং শুধুমাত্র ভারতে নয়, সারা বিশ্বে বিখ্যাত হয়ে উঠছে। নিজের জন্য সেরা সঙ্গীর সন্ধানে একাধিক ডেটিং অ্যাপের সাহায্য নিচ্ছেন প্রেমিক মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে সেরা সঙ্গীর ছদ্মবেশে বেশিরভাগ মানুষই প্রতারকের শিকার হচ্ছেন। প্রতিবেশী দেশ চিনেও এ ধরনের কেলেঙ্কারি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েই চলেছে।
আরও পড়ুন: (Life Hacks: বাথরুমে দুর্গন্ধ হলে এই টিপসগুলি জেনে নিন, হোটেলের বাথরুমে এই কারণেই সুগন্ধ থাকে)
তিন মাসে ৩৫ লক্ষ টাকা আয়
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম চিনে এমন অনেক সংস্থা কাজ করছে, যারা নারীদের পুরুষদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। এর মধ্যে বেশিরভাগই এজেন্সি জালিয়াতি করছে। যদিও পুলিশের চোখে ইতিমধ্যে পড়ে গিয়েছে সবটা। এই সংস্থাগুলি সেরা সঙ্গীর সন্ধানকারী পুরুষদের সঙ্গে মহিলাদের পরিচয় করিয়ে দেয়, এরপর বিয়ের জন্য চাপ দেয় এবং বিনিময়ে ওই পুরুষদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। শুধু তাই নয়, বিয়ের পর ওই মহিলা কোনও না কোনও অজুহাতে স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়। এরপরই স্বামীর টাকা হাতিয়ে, একা বিলাসবহুল জীবনযাপন করে। একইভাবে, দক্ষিণ-পূর্ব চিনে বসবাসকারী এক মহিলা মাত্র তিন মাসেই ৩৫ লক্ষ টাকা আয় করে বাজিমাত করেছেন।
ফ্ল্যাশ ম্যারেজ কী
বিয়ে সংক্রান্ত এই শব্দটি নতুন। কিন্তু এই প্রতারণা বিশ্বের প্রায় সব দেশেই প্রচলিত। এ ক্ষেত্রে এজেন্সি পুরুষ ও নারীকে একে অপরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। কিছুদিন পর দুজনকেই বিয়ের জন্য চাপ দেয়। বিয়ে চূড়ান্ত হওয়ার পর টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। আর বিয়ের পর নারীরাও প্রায়ই না জানিয়ে উধাও হয়ে যান, আবার কোনও কোনও নারী মারামারি, ঝামেলা করে পুরুষকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য করেন। এইভাবেই চিন সহ বিশ্বের অনেক দেশেই ক্রমশই ফ্ল্যাশ ম্যারেজ-এর শিকার হচ্ছেন পুরুষরা।
আরও পড়ুন: (Camphor Lamp: বাড়িতে কর্পূরের প্রদীপ জ্বালানো হয় কেন? কয়েকটি আশ্চর্য গুণের কথা জেনে নিন)
সবসময় যে এজেন্সিরাই এজ স্ক্যামে লিড করছে এমনটা কিন্তু নয়। অনলাইন ডেটিং অ্যাপসও এতে বড় ভূমিকা পালন করছে। মেয়েরাও পুরুষদের প্রেমের জালে ফাঁসানোর জন্য ফ্ল্যাশ ম্যারেজ করছে, এই অ্যাপগুলি ব্যবহার করে। অনেক দেশে ফ্ল্যাশ ম্যারেজ একটা ব্যবসায় পরিণত হয়েছে, যেখান থেকে মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করছে।
প্রসঙ্গত, এই ফ্ল্যাশ ম্যারেজের জালে ফেঁসেছেন একাধিক মানুষ। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্চ থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে হুয়াহুয়ুয়ান থানায় ফ্ল্যাশ ম্যারেজ সংক্রান্ত ১৮০টি অভিযোগ নথিভুক্ত করা হয়েছে। এ থেকে অনুমান করা যায় ফ্ল্যাশ ম্যারেজ কত দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। যদি পরিসংখ্যান বিশ্বাস করা হয়, প্রতিদিন ৪০-৫০ জন পুরুষ সঙ্গীর খোঁজে বিবাহের আয়োজনকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। এসব সংস্থার বেশিরভাগই প্রতারণার জাল বিছিয়ে রেখেছে। সেই জালে জীবন জড়িয়ে যাচ্ছে পুরুষদের।