IVF এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে আজ বহু মানুষ পিতা-মাতা হওয়ার সুখ উপলব্ধি করতে পারছেন। একপ্রকার বলতে গেলে, IVF পদ্ধতি সেই সমস্ত মানুষের জন্য ঈশ্বরের আশীর্বাদ, যারা বহু বছর ধরে বাবা-মা হওয়ার চেষ্টা করে চলেছেন। আপনিও যদি তাদের মধ্যেই একজন হন, তাহলে জানুন IVF দিবস কেন পালন করা হয়?
IVF কী?
IVF কথাটির অর্থ হল ইন ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন। এটি এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যা সেই সমস্ত ব্যক্তিদের সন্তান ধারণ করতে সাহায্য করে, যারা বহুদিন ধরে বন্ধ্যত্বের সমস্যায় ভুগছেন।
কবে পালন করা হয় বিশ্ব IVF দিবস?
প্রতি বছর ২৫ জুলাই পালন করা হয় বিশ্ব IVF দিবস। চলতি বছর এই দিনটি বৃহস্পতিবার পালন করা হবে।
বিশ্ব IVF দিবসের উদ্দেশ্য?
এই দিনটি পালন করার একমাত্র উদ্দেশ্য হলো সেই সমস্ত মানুষকে লজ্জার হাত থেকে বের করে নিয়ে আসা যারা বন্ধ্যত্বের শিকার। বন্ধ্যত্ব যে কোনও দোষের নয়, কোনও কলঙ্ক বা লজ্জা নয়, সেটা বোঝানোর জন্যই এই দিনটি পালন করা। এছাড়া যারা গর্ভধারণের সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছেন, তাদের এই লড়াইয়ে সমর্থন এবং ভালোবাসা ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে পালন করা হয় বিশ্ব IVF দিবস।
(আরও পড়ুন: আজ পানীয় উপভোগ করার দিন, রাশি মিলিয়ে দেখুন, কোন পানীয় আপনার জন্য পারফেক্ট)
বিশ্ব IVF দিবসে জানুন কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবেন এই প্রক্রিয়ার জন্য
IVF কী, সেটা জানুন: IVF প্রক্রিয়া সম্পর্কে নিজেকে আগে শিক্ষিত করে তুলুন। এই গোটা প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য জটিলতা, প্রয়োজনীয় ওষুধ সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টা করুন।
IVF - এর জন্য আগে প্রস্তুতি নিন মানসিকভাবে: IVF বিশেষজ্ঞের সঙ্গে দেখা করে আপনার সমস্ত প্রশ্ন তাঁর সঙ্গে খোলামেলা ভাবে আলোচনা করুন। আপনার শরীরে কোনও সমস্যা থেকে থাকলে তা নিয়েও আলোচনা করুন। আপনার প্রশ্নের উত্তর আপনাকে বলে দেবে আপনি শারীরিক বা মানসিকভাবে IVF পদ্ধতির জন্য প্রস্তুত কিনা।
IVF পদ্ধতিতে যাওয়ার আগে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকুন: IVF একটি যথেষ্ট জটিল প্রক্রিয়া। নিয়মিত ব্যায়াম, সুষম ডায়েটের মাধ্যমে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন খান ফল, সবজি, গোটা শস্য এবং চর্বিহীন প্রোটিন।
(আরও পড়ুন: বাংলার হারিয়ে যেতে বসা ডিঙি নৌকা স্থান পাবে গুজরাটের মিউজিয়ামে, সহযোগিতায় ব্রিটেন)
মানসিক চাপমুক্ত থাকুন: মানসিক চাপ যদি আপনার থাকে তাহলে আপনি কোনও ভাবেই IVF পদ্ধতির দ্বারা উপকৃত হবেন না। তাই প্রথমেই যোগ ব্যায়াম, মেডিটেশন, কাউন্সেলিং-এর মাধ্যমে নিজেকে মানসিকভাবে সুস্থ রাখার চেষ্টা করুন।
মাসিক চক্র মনিটর করুন: প্রতি মাসে আপনার মাসিক চক্র সঠিকভাবে হচ্ছে কিনা তার ওপর নজর দিন। এছাড়া আপনার ডিম্বাণু এবং আপনার সঙ্গীর শুক্রাণুর মান সঠিক আছে কিনা সেটাও জেনে নিন পরীক্ষার মাধ্যমে।