ব্যস্ত সময়সূচি, আলস্যের কারণে আমরা প্রায়ই ওয়ার্কআউট করা এড়িয়ে যাই। যদিও আমরা জানি যে, সুস্থ শরীরের জন্য ওয়ার্কআউট করা কতটা দরকার। ওয়ার্কআউটের কি কোনও সঠিক সময় আছে? কখন ব্যায়াম করলে ভালো ফল পাবেন? আসুন সেটাই জেনে নেওয়া যাক।
এই বিষয়ে ডাইটিশিয়ানরা বলে থাকেন বিভিন্ন সময় এক্সারসাইজ করার বিভিন্ন সুবিধা আছে। তারা এই বিষয়ে বেশ কিছু দিকের কথা লক্ষ্য রাখতে বলেছেন। যেমন-- সকালে ঘুম থেকে উঠেই ব্যায়াম করলে কোনও চিন্তা থাকে না। ভালো পরিবেশ ভালো ফল দেয়। তাই সকালের ফুরফুরে বাতাসে এক্সারসাইজ করা খুবই উপকারি। এই সময় বাতাসে পলিউশনের মাত্রা কম থাকে। সূর্যের আলো থেকে বেশি ভিটামিন ডি তৈরি হয় যা আমাদের হাড়ের জন্য খুবই দরকার।
আর্লি বেড টু আর্লি টু রাইস জীবনে সেই মানুষগুলো বেশি সফল হয়ে থাকেন যাদের একটি নির্দিষ্ট রুটিন আছে। আমাদের ব্যস্ত রুটিনের জন্য এক্সারসাইজ মিস করে যাওয়ার চান্স বেশি। কিন্তু সকাল সকাল ওয়ার্কআউট সেরে নিলে সেই ভয় আর থাকে না। সকালে ওয়ার্কআউট করলে আপনি নিজের অজান্তেই দেখবেন কনসিস্টেন্সি চলে আসছে আপনার ডেলি রুটিনে।
সকালে ওয়ার্কআউট করলে হ্যাপি-হরমোন নামে একটি হরমোন মস্তিষ্ক থেকে নিঃসৃত হয় যা আমাদেরকে সারাদিনের জন্য আক্টিভ রাখে এবং এক আলাদা উত্তেজনায় কাজ করতে উৎসাহ দেয়। যদি আপনি ওজন কমানোর জন্য ওয়ার্কআউট করে থাকেন তাহলে সকাল হল পারফেক্ট টাইম। এই সময় ব্যায়াম করলে শরীর থেকে বেশি ক্যালোরি ক্ষয় হয়। একবার সকালে ওয়ার্কআউট করে দেখুন, দেখবেন আপনার ঘুম আগের থেকে অনেক ভালো হচ্ছে।
তা বলে কি আপনি বিকেলে বা সন্ধায় ওয়ার্কআউট করবেন না? করলে কি ভালো ফল পাবেন না? নিশ্চয় পাবেন। সকালে যদি কোনও কারণে ওয়ার্কআউট করা মিস হয়ে যায় তাহলে দুপুর বা সন্ধে ঠিক সময় হতে পারে আপনার জন্যে। সন্ধেবেলায় ওয়ার্কআউট করলে শরীর বেশি টেস্টোস্টেরন তৈরি করে যা পুরুষ ও মহিলাদের সুগঠিত পেশি তৈরি করতে সাহায্য করে।
ব্যায়াম করার কোনও সঠিক সময় হয় না। আপনার শরীর যখন সাড়া দেবে, যখন আপনার কাজের কোনও ব্যাঘাত হবে না, তখনই ব্যায়াম করুন। তবে ব্যায়াম করার আগের সতর্কতাগুলি অবশ্যই মেনে চলা জরুরি।