ঘানায় মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত দু’জনকে পাওয়া গিয়েছে। এই খবর ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে। কিন্তু কেন এই ভাইরাসটি নিয়ে এত আতঙ্ক? কেন আবার একটি মহামারির আশঙ্কা করছেন অনেকে? কেন এটিকে তুলনা করা হচ্ছে ইবোলার মতো ভয়ানক অসুখের সঙ্গে?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO-র রিপোর্ট অনুযায়ী, ঘানা ইতিমধ্যে ২ জনকে পাওয়া গিয়েছে মারবার্গ ভাইরাসে আক্রান্ত অবস্থায়। সেই দুই আক্রান্তর শরীরে সংক্রমণ ধরা পরার এক-দু’দিনের মধ্যে দু’জনেরই মৃত্যু হয়। তার পর থেকেই আবার নতুন করে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে এই ভাইরাসটি নিয়ে।
কী এই মারবার্গ ভাইরাস সংক্রমণ (Marburg virus disease)?
মারবার্গ ভাইরাস সংক্রমণের ফলে হওয়া রোগকে Marburg virus disease বা MVD বলা হয়। একে আগে বলা হত Marburg haemorrhagic fever। এটি কারও কারও ক্ষেত্রে মারাত্মক আকার নিতে পারে। তার ফলে মৃত্যুও হতে পারে।
এই ভাইরাসের সংক্রমণের ধরন অনেকটাই ইবোলা সংক্রমণের মতো। আর সেই কারণেই এটি নিয়ে এত উদ্বিগ্ন চিকিৎসকরা।
এই সংক্রমণের উপসর্গ বা লক্ষণগুলি কী কী?
সংক্রমণের ২ থেকে ২১ দিনের মধ্যে যে কোনও সময়ে উপসর্গগুলি দেখা দিতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে:
- মাথাব্যথা
- পেটব্যথা
- পেটের মারাত্মক গণ্ডগোল
- বমি
- প্রচণ্ড ক্লান্তি
- চোখ বসে যাওয়া
সংক্রমণ মারাত্মক হলে নাক, গাঁতের গোড়া এবং বমির সঙ্গে রক্তপাত হতে পারে। এই রক্তপাতেই অনেকের মৃত্যু হয়।
কীভাবে ধরা পড়ে এই ভাইরাস সংক্রমণ?
মূলত রক্তপরীক্ষা করেই এই ভাইরাসের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। এটি মারাত্মক হারে ছড়িয়ে পড়ে। তাই এটি থেকে বাঁচার জন্য খুব সাবধানে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। যাঁরা চিকিৎসা করেন বা নমুনা সংগ্রহ করেন, তাঁদের বেশ ঝুঁকি থাকে।
কীভাবে সংক্রমিত হয়?
অন্য ভাইরাসের মতোই এটিও সংক্রমিতের লালারস, থুতু, রক্ত থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমনকী বাদুড়ের মতো প্রাণী থেকেও এই ভাইরাস ছড়াতে পারে বলে মনে করা হয়।
বাঁচার উপায় কী?
করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য যে ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানতে বলা হয়, এক্ষেত্রেও তাই। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে আরও বেশি পরিমাণে সচেতন থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
কেন মারবার্গ ভাইরাস নিয়ে এত ভয়?
এই ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে মৃত্যুর হার মারাত্মক বেশি। আর সেই কারণেই এটি নিয়ে আতঙ্কে বেশি। তেমনই বলছেন বিজ্ঞানীরা। সেই কারণেই এটির তুলনা করা হচ্ছে ইবোলার সঙ্গে।