ভারতীয় চলচ্চিত্রে এদিন আরও এক নক্ষত্র পতন। না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন পরিচালক তরুণ মজুমদার। রেখে গিয়েছেন তাঁর অগাধ সৃষ্টিকে। রেখে গিয়েছেন তাঁর মৃত্যুহীনশিল্প নিদর্শনকে। আর তাঁর ইচ্ছা অনুসারে তাঁর দেহ মরণোত্তরকালে দান করা হয়েছে এসএসএক এম হাসপাতালে।
মরণোত্তর দেহদান একটি অত্যন্ত মহৎ প্রচেষ্টা। এই প্রচেষ্টার সঙ্গে সামিল হতে অনেকেই ইচ্ছুক হলেও সঠিক পদ্ধতি বা কোন প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যেতে হয়, তা অনেকেই জানেন না। প্রয়াত পরিচালক তরুণ মজুমদার দেহদানকারী সংস্থার সঙ্গে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছিলেন বলে জানা যায়। তবে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর ছিল না। দেখে নেওয়া যাক দেহদান সম্পর্কে কিছু তথ্য।
কেন অঙ্গদান প্রয়োজন?
প্রসঙ্গত, শিক্ষা ও গবেষণার স্বার্থে দেহদান গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মূলত, শারীরবিদ্যার নিরীক্ষণে এই অঙ্গদানের গুরুত্ব রয়েছে। যে সমস্ত চিকিৎসাবিজ্ঞানী বা চিকিৎসক শরীর তথা অস্ত্রোপচার নিয়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তাঁদের পক্ষে এই ঘটনা খুবই গুরুত্বের।
কোন কোন ক্ষেত্রে দেহদানে বাধা হতে পারে?
উল্লেখ্য, যে সমস্ত সংস্থা দেহ গ্রহণ করছে তাদের কোনও শর্ত এই ক্ষেত্রে রয়েছে কি না দেখতে হবে। এছাড়াও দেহ পোস্ট মর্টেম হলে তা দান করার ক্ষেত্রে সমস্যা হয়। সেক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের অন্য আয়োজন করতে হয় দেহদানের বিষয়ে।
কীভাবে দেহদান করা যায়?
দেশে বহু সমাজসেবা সংস্থা রয়েছে যাঁরা দেহদানের উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ রয়েছে, যেখানে দেহদান করা যায়। এছাড়াও দেহদানের ক্ষেত্রে https://www.organindia.org/ORGAN-DONATION/body-donation-directory/ এই লিঙ্কে ক্লিক করে বিস্তারিত জানতে পারেন।
দেহদানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কী?
উল্লেখ্য, দেহদানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল পরিবারের সম্মতি। ব্যক্তির মৃত্যুর পর পরিবারই দেহদানের বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যায়। ফলে পরিবারের সকলের সম্মতি এক্ষেত্রে জরুরি। এমন সংবেদনশীল পরিস্থিতিতে আত্মীয় স্বজনদের আবেগকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
কোন কোন সাইট থেকে জানতে পারবেন দেহদান সম্পর্কে তথ্য?
দেহদান সম্পর্কে তথ্য জানতে চাইলে যে সাইটগুলি থেকে তথ্য বিশদে জানতে পারবেন তা হল- www.dehdan.org। এছাড়াও রয়েছে, www.organandbodydonation.com।