সন্তানের জন্ম দেওয়ার জন্য সঠিক বয়স কোনটি হতে পারে? তা নিয়ে রয়েছে বহু মহিলার নানান প্রশ্ন। অনেকেই মাতৃত্বের পরিকল্পনার সঙ্গে বয়সের অঙ্ক নিয়ে উদ্বেগে থাকেন। যদিও এই মুহূর্তে বিশ্বে নানান ধরনের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থার জেরে অসাধ্য সেভাবে কিছুই নয়। তবে তিন বছর আগে ফ্রান্সের এক গবেষণায় মাতৃত্বের উপযুক্ত বয়স নিয়ে একাধিক তথ্য উঠে আসে। সেখানে ৩৫ বছর বয়সের উর্ধ্বে গর্ভবতী হওয়া নিয়েও নানান ধরনের আলোচনা উঠে আসে।
৩৫ এর পরও হওয়া সম্ভব মা, যদি...
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ফার্টিলিটি নিয়ে উদ্বেগ অনেক মহিলারই থাকে। গবেষণা বলছে, শুধু মহিলারাই নন, পুরুষদের জন্যও সন্তানকে জন্ম দেওয়ার সঠিক সময় ২০ এর পর থেকে শুরু হয়। অনেকেই বর্তমান যুগে এগ ফ্রিজিং করে গর্ভবতী হওয়ার কথা বলেন। তবে গবেষণা বলছে, তার সাফল্যের শতাংশ ২০ এর আশপাশে থাকে। তবে ৩৫ এর পরও মাতৃত্ব গ্রহণ করা যায়, যদি রিপ্রোডাকটিভ সিস্টেমে কোনও সমস্যা না থাকে। তবে বলা হয়, ৩৫ বছরের পর থেকে কমে যায় মহিলাদের ফার্টিলিটি রেট।
গর্ভধারণে সমস্যা বা কনসিভ না করতে পারার আরও বহুবিধ কারণ রয়েছে-
ধূমপান
ধূমপানের ফলে রিপ্রোডাকটিভ সিস্টেমে বড়সড় প্রভাব পড়ে। ফলে সমস্যা হয় গর্ভধারণে। কনসিভ করার ক্ষেত্রে আসে বহু ধরনের জটিলতা।
প্রচণ্ড ওয়ার্ক আউট
অনেক সময়ই প্রবল ওয়ার্কআউট করার ফলে কনসিভ করার ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়। এক্ষেত্রে গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমে যেতে থাকে।
পিসিওডি বা পিসিওএসের সমস্যা
পিসিওডি বা পিসিওএস থেকে সমস্যা থাকলে ওভারিতে ছোট ছোট সিস্ট দেখা যায়। যা সময়ে 'এগ'-কে মুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যা করে। এই সমস্যার উপসর্গ হল, অনিয়মিত পিরিয়ড, মুখে ব্রন, রাতে ঘুমের অভাব।
অন্যান্য সমস্যা
এমন নয় যে সন্তানের জন্ম না হওয়ার নেপথ্যে শুধুই মহিলাদের শারীরিক জটিলতাই থেকে যায়, বরং তার সঙ্গে পুরুষদের বহুবিধ শারীরিক জটিলতাও সমস্যা তৈরি করে। গোটা বিষয়টিই নির্ভর করছে ওভিউলেশনের দিনের ওপর। তবে গর্ভধারণের জন্য সঠিক ডায়েট মেনে চলা খুবই জরুরি।