থেরেমিন এমন এক বাদ্যযন্ত্র, যেটা বাজাতে সেটা ধরতে হয় না। অনেকে এর নাম না জানলেও এর কাজের সঙ্গে সিনেমাপ্রেমীদের অবশ্যই পরিচয় আছে। বিশেষ করে আপনি সায়েন্স ফিকশন কিংবা হরর মুভির ভক্ত হলে তো কথাই নেই।
থেরেমিন তড়িৎচুম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরি করে, যেটা শরীরের নড়াচড়া দ্বারা প্রভাবিত হয়।
রাশিয়ার পদার্থবিদ লিয়েন থেরেমিন ১৯২০ সালে এই বাদ্যযন্ত্র আবিষ্কার করেন। অনেক শিল্পী ও ব্যান্ড এটা বাজিয়েছে। যেমন বিচ বয়েজ, লেড জ্যাপলিন, টম ওয়েইটস ও জন-মিশেল জার।
বিশ্বের অন্যতম সেরা থেরেমিন বাদক জার্মানির ক্যারোলিনা আইক। তিনি জানান, ‘প্রথম যখন থেরেমিন আসলো তখন মানুষ ভিব্রাটো অর্থাৎ গলায় দ্রুত কম্পন তৈরির মাধ্যমে সেটা বাজাত। বেহালা ও অন্য বাদ্যযন্ত্রও ব্যবহার করত।’
সাত বছর বয়সে প্রথম থেরেমিন পান ক্যারোলিনা। উদ্ভাবকের ভাইজির মেয়ে-সহ অনেকের কাছে তিনি এটা বাজানো শিখেছেন।
১৬ বছর বয়সে তিনি থেরেমিন বাজানোর নতুন এক উপায় বের করেন। সেটা এখন সারা বিশ্বে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই কৌশলের কারণে আরও নিখুঁতভাবে থেরেমিন বাজানো সম্ভব হয়। নড়াচড়া যত অল্পই হোক না কেন, থেরেমিন সেটা ধরতে পারে।
থেরেমিন প্রথম দিককার ইলেক্ট্রনিক বাদ্যযন্ত্র হওয়া সত্ত্বেও এবং শতবছর আগে উদ্ভাবিত হলেও এখনও এর শব্দ শুনে মনে হয়, এটি বুঝি ভবিষ্যৎ থেকে আসা কোনও যন্ত্রের শব্দ।
ইয়েন্স ফন লার্খার/জেডএইচ