সম্পর্কে যাওয়া মানেই একজনের পুরোটা সময় আরেকজনকে দেওয়া নয়। দুজন মিলেই সব জায়গায় যাওয়া নয়। সব সম্পর্কেই ব্যক্তিগত পরিসর থাকা উচিত। পার্সোনাল স্পেস ভীষণ জরুরি। সেখানে কেউ ঢুকতে পারে না। এমনকী আপনার বাবা মাও না। প্রেমিক/ প্রেমিকা বা স্বামী/স্ত্রীও না। প্রতিটি সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছু জিনিস মাথায় রাখা উচিত। দেখে নিন কী কী?
১. প্রথমত, বর ভালো চাকরি করে মানেই আপনাকে চাকরি না করলেও চলবে এমনটা নয়। স্বাধীন এবং স্বাবলম্বী হন। চাকরি করলে আপনি স্বাবলম্বী হবেন। নিজের একটা জোর থাকবে। সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ, একই রক গুরুত্বপূর্ণ হল নিজের পায়ে দাঁড়ানো।
২. মনে রাখবেন সব সম্পর্কের ভিতই হল বিশ্বাস এবং ভরসা। তবে সেটা অন্ধ বিশ্বাস নয়। যদি সম্পর্কে বিশ্বাস না থাকে, একে অন্যকে শ্রদ্ধা না করেন তাহলে জানবেন সেই সম্পর্ক টেকার নয়। যেখানে সম্মান পাচ্ছেন না সেখানে কীভাবে থাকবেন?
৩. কাউকে কখনও ব্যাখ্যায় দিতে যাবেন না। অফিসে কেন দেরি হচ্ছে, আজ কেন কোনও বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাবেন আপনি বলতে বাধ্য নন। মনের ভুলেও সম্পর্কে প্রথম থেকে এই কাজ করবেন না।
এই কটা জিনিস সবসময় মনে রাখুন। না বলতে শিখুন, এটা খুব জরুরি। যে যা বলবে তাতেই সম্মত হবে না। না পারলে, না পছন্দ হলে স্পষ্ট না করুন। তাতে যে যা ভাবার ভাবুক। একই সঙ্গে কথায় কথায় ঝগড়া করবেন নাম ঝামেলাও করবেন না। ঠাণ্ডা মাথায় পরিস্থিতি সামলান। যদি তাতে কাজ না হয়, প্রেমিক/প্রেমিকার সন্দেহ বাড়তেই থাকে, তিনি যদি কথায় কথায় অবিশ্বাস করেন আপনাকে, প্রশ্ন করেন তাহলে সরে আসুন সেই সম্পর্ক থেকে। এমন সম্পর্কের পরিণতি ভালো হয় না। জোর করে কিছু টিকিয়ে রাখার থেকে শান্তিতে থাকুন। আবেগ তাড়িত হয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন না, সবসময় ঠাণ্ডা মাথায় সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিন।