করোনা সংক্রমণ বাড়ছে হু হু করে। অনেকেরই ধারণা, এর পিছনে ভূমিকা রয়েছে ওমিক্রনের। কারণ করোনার অন্য রূপগুলির তুলনায় ওমিক্রনের সংক্রমণের হার অনেক বেশি। ফলে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এটি। তাছাড়া ওমিক্রনের উপসর্গ সম্পর্কে যা জানা গিয়েছে, তার সঙ্গেও বেশির ভাগ আক্রান্তের উপসর্গের মিল আছে। সব মিলিয়ে অনেকেরই ধারণা, ভারতে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের পিছনে ভূমিকা রয়েছে করোনার এই রূপটিরই।
কিন্তু কবে শেষ হতে পারে এই তৃতীয় ঢেউ? কবে ওমিক্রনের দাপট কমতে পারে? কী ভাবছেন বিশেষজ্ঞরা?
ইতিমধ্যেই কানপুর আইআইটির একটি পরিসংখ্যান বলছে, ফেব্রুয়ারি মাসের ৩ তারিখ তৃতীয় ঢেউ চরম পর্যায়ে পৌঁছোতে পারে। অর্থাৎ এখনও ২১-২২ দিন ধরে ওমিক্রনের দাপট বেড়েই চলবে। এমনই ভাবছেন কানপুর আইআইটির সমীক্ষাকারী দলটির গবেষকরা।
চরম পর্যায়ে পৌঁছোবে মানে, আশা করা যায়, তার পর থেকে কোভিড সংক্রমণের হার কিছুটা কমতে থাকবে। সেই কথা কি ঠিক? কী বলছেন চিকিৎসকরা? ফুসফুস-সংক্রান্ত রোগববিশেষজ্ঞ, চিকিৎসক সন্দীপ নায়ার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, আশা করা যায় এর পর থেকেই কমতে থাকবে করোনা সংক্রমণের হার।
তাঁ কথায়, ‘সংক্রমণের হার যেমন দ্রুত বেড়েছে, তেমনই দ্রুত কমার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ যত দ্রুত সংক্রমণ শিখরে পৌঁছোবে, তত দ্রুতই তার নেমে আসার একটা সম্ভাবনা থাকে।’ দক্ষিণ আফ্রিকাতেও এই ঘটনা ঘটতে দেখা গিয়েছে। এমনই জানিয়েছেন তিনি। সে দেশে হারে করনো সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে, তা রীতিমতো দুশ্চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল চিকৎসকদের। কিন্তু তার পরে দেখা যায়, আরও দ্রুত হারেই কমতে থাকে করোনা সংক্রমণের হার।
তাহলে ভারতে কবে নাগাজ শেষ হতে পারে এই তৃতীয় ঢেউ? অনেক বিশেষজ্ঞের অনুমান, মার্চের মাঝামাঝি করে কমে যেতে পারে সংক্রমণের হার। তবে টিকাকরণের হার বাড়লে তার আগেও কমতে পারে করোনার এই বাড়াবা