জানেন কি এডিস মশা কখন সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে? ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে মাথায় রাখুন এই সব টিপস

প্রতিদিন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার কারণে, শুধুমাত্র প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়াই গুরুত্বপূর্ণ নয়, এই মশাগুলি কীভাবে অন্যদের থেকে আলাদা তা জানাও গুরুত্বপূর্ণ৷ ডেঙ্গু জ্বর এড়াতে কী ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হয়, তা জেনে নিন।

প্রতিদিন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার কারণে, শুধুমাত্র প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়াই গুরুত্বপূর্ণ নয়, এই মশাগুলি কীভাবে অন্যদের থেকে আলাদা তা জানাও গুরুত্বপূর্ণ৷ ডেঙ্গু জ্বর এড়াতে কী ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হয়, তা জেনে নিন।

ডেঙ্গুর মশা, প্রাথমিকভাবে এডিস ইজিপ্টি এবং এডিস অ্যালবোপিকটাস। এরা খোলা জায়গায় থাকে। মশা, বিশেষ করে এডিস ইজিপ্টি মানুষের ঘামে পাওয়া উষ্ণতা এবং নির্দিষ্ট যৌগের প্রতি আকৃষ্ট হয়। পা এবং গোড়ালি থেকে বেশি ঘাম বের হয়। মানুষ যখন শ্বাস ত্যাগ করে তখন তাঁরা কার্বন ডাই অক্সাইড ত্যাগ করে, যা মশাকে আকর্ষণ করে। যেহেতু কার্বন ডাই অক্সাইড বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে, তাই মশারা সেই গন্ধ অনুসরণ করে এগিয়ে যায়, হাত বা পায়ের খোলা জায়গায় কামড়ায়।

এডিস মশা দিনের বেলা বেশি সক্রিয় থাকে। ভোরে এবং বিকেলে এর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি থাকে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুসারে, ‘ডেঙ্গুর মশা সাধারণত সকাল সকাল ৮ টা থেকে সকাল ১০ টা এবং বিকেল ৩টে থেকে ৫টা পর্যন্ত বেশি কামড়ায়।’ এই সময়গুলিতে, সকলেই প্রায় হালকা পোশাক পরেন। হাত, পা খোলা থাকে, যার ফলে কামড়ানোর ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই মশাগুলি উষ্ণ, আর্দ্র পরিবেশে বৃদ্ধি পায়, যেমন গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় অঞ্চলে। ডেঙ্গু বাহক মশা ঘরের ভিতরের কোণে প্রধানত আসবাবপত্র, বিছানা, তাক, আলমারির আড়ালে অন্ধকারে লুকিয়ে থাকে।

কী কী ভাবে রক্ষা পেতে পারেন?

লম্বা-হাতা শার্ট, প্যান্ট, মোজা এবং পা ঢাকা জুতো পরতে পারেন।

হাত এবং পায়ে উন্মুক্ত ত্বকে মশা নিরোধক ক্রিম বা স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন এতে মশা কম কামড়াবে।

জানালা এবং দরজায় পর্দা দিয়ে রাখতে পারেন এই সময়। যেহেতু এডিস মশা দিনের বেলায় সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে, জানলা ও দরজা বন্ধও রাখতে পারেন।

এই মশারা জমে থাকা পরিষ্কার জলে বংশবৃদ্ধি করে। তাই নিয়মিত ভাবে আপনার বাড়ি এবং আশেপাশের কোথাও জল জমতে দেবেন না।