বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > World Population Day 2022: জনসংখ্যার নিরিখে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে ভারত? বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে ভেবে দেখতেই হবে

World Population Day 2022: জনসংখ্যার নিরিখে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে ভারত? বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে ভেবে দেখতেই হবে

জনসংখ্যা বিস্ফোরণ কতটা ভয়ের হতে চলেছে?

World Population Day 2022: বৃহত্তর আঙ্গিকে এই বিশেষ দিনের তাৎপর্য হল সমাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলা - সফল পরিবার পরিকল্পনা, লিঙ্গ সমতা আনা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, মানবাধিকার, মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা।

রণবীর ভট্টাচার্য

আজ ১১ জুলাই, বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। জনসংখ্যা স্রেফ পরিসংখ্যান বা গাণিতিক সংখ্যা নয়, বরং আধুনিক সমাজে একটি প্রয়োজনীয় মাপকাঠি। রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফে এই বিশেষ দিনের উদযাপনের কথা বলা হয় ১৯৮৯ সালে যখন সারা বিশ্বের জনসংখ্যা পেরিয়ে যায় ৫ বিলিয়ন। তিন দশকের বেশি সময় ধরে সারা বিশ্বে পালিত হয়ে চলেছে এই দিন। এই বছর সারা পৃথিবীর জনসংখ্যা হতে চলেছে ৮ বিলিয়ন। প্রসঙ্গত ২০১১ সালে সারা বিশ্বের জনসংখ্যা ছুঁয়েছিল ৭ বিলিয়ন সংখ্যা। এই বছরের বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের থিম হল সকলের জন্য সমান ক্ষেত্র তৈরি করার সর্বাঙ্গীন প্রয়াস।

বৃহত্তর আঙ্গিকে এই বিশেষ দিনের তাৎপর্য হল সমাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলা - সফল পরিবার পরিকল্পনা, লিঙ্গ সমতা আনা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, মানবাধিকার, মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি এবং মানুষের বিজ্ঞান নির্ভর ভাবনার জন্য গড় আয়ু বেড়েছে মানুষের। তার সাথে সাথে জীবনের মানের উন্নতি হয়েছে সার্বিক ভাবে।

বলাই বাহুল্য, জনসংখ্যা সম্পর্কিত যে কোন আলোচনাই সংবেদনশীল। উন্নত দেশগুলো পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে মাথাপিছুর যে হিসেব রাখে, সেখানে সামগ্রিক জনসংখ্যা বা জনবিস্ফোরণ অনেক সময়েই সব হিসেব ওলট পালট করে দেয়। অনেক দেশ নিয়ম কানুন চাপিয়েছে এই নিয়ে - বিতর্ক তৈরি হয়েছে সেই নিয়েও। ইউরোপের কিছু দেশে পরিবার পিছু চাকরির বিষয়ের ক্ষেত্রেও জনসংখ্যা নীতি প্রভাব ফেলেছে। পাশের চিনে অবশ্য বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত তারা পরিবারে একটি সন্তানের নীতির দিকে অগ্রসর হয়েছে। পরবর্তীকালে দেখা গিয়েছে এক ধরনের সংকট যেখানে সন্তানের বড় হওয়ার ক্ষেত্রে উপযোগী পরিবেশ গড়ে ওঠেনি, সমাজ স্বার্থপর মানুষ তৈরি করার দিকে এগিয়েছে। ভারতের মত দেশে ইন্দিরা গান্ধীর আমলে সঞ্জয় গান্ধীর নির্দেশে বিতর্কিত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল জনসংখ্যা কমানোর লক্ষ্যে। তবে একটি বিষয় নিয়ে সকলেই একমত যে জনসংখ্যার সাথে নারী স্বাস্থ্যের সরাসরি যোগ রয়েছে। অনেক সময়েই নারী স্বাস্থ্যের দিকটি অবহেলিত থেকে যায় এবং প্রসূতি মায়ের মৃত্যু সব সময়েই সমাজের বা দেশের কাছে লজ্জার ও বেদনার বটে। এখানে উল্লেখ্য যে স্বাধীনতার সময়ে ভারতের জনসংখ্যা ছিল ৩৪০ মিলিয়ন আর এখন অর্থাৎ ২০২২ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ১৪০ কোটির কাছাকাছি। পরবর্তী জনগণনায় ভারতের জনসংখ্যার সাম্প্রতিক ট্রেন্ড নিয়ে সঠিক দিশা পাওয়া যাবে।

তাই আজকের এই বিশেষ দিন দেশের সরকার তথা সিদ্ধান্তপ্রণেতাদের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা বা সামাজিক প্রকল্পের সুবিধার জন্য বাস্তবসম্মত জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ দিশা দেখাতে পারে।

বন্ধ করুন