লাইভ টেলিকাস্টে খবর পড়ার সময়ে অনেক কিছুই ঘটে, যার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয় সঞ্চালকদের। বিশেষ করে কখনও বন্ধ হয়ে যেতে পারে টেলিপ্রম্পটার, কখনও বা যান্ত্রিক কোনও ত্রুটি, কখনও বা পর্দার ওপারে থাকা সাংবাদিক বা কোনও অতিথির কোনও মন্তব্য শুনে সেগুলিকে সামাল দেওয়ার প্রস্তুতি অনেকেকেই রাখতে হয়। কিন্তু তা হলে মাছি!
হালে এমনই ঘটেছে কানাডার এক সঞ্চালকের সঙ্গে। এক বেসরকারি চ্যানেলের সঞ্চালক ফারাহ নাসের যখন খবর পড়ছিলেন, তখন তাঁর মুখে ঢুকে পড়ে একটি মাছি। তার পরে কী করেন ফারাহ? নিজেই সেই ভিডিয়ো শেয়ার করেছনে সঞ্চালক। (আরও পড়ুন: কোরিয়ান মা ছেলেকে শেখাচ্ছেন ‘জনগণমন অধিনায়ক জয় হে’ গাওয়া, ভাইরাল ভিডিয়ো)
সম্প্রতি বন্যায় আক্রান্ত পাকিস্তান। বেসরকারি চ্যানেলটিতে সেই সংক্রান্ত খবরই পড়ছিলেন সারাহ। সেই সময়েই তাঁর মুখে ঢুকে যায় মাছিটি। কিন্তু নিজের কাজ থামাননি তিনি। বরং পেশাদারিত্বের খাতিরেই খবর পড়ে গিয়েছেন বলে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন তিনি। তাঁর এই কাণ্ড কানাডার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবরও হয়েছে। (আরও পড়ুন: কানপুরের কাণ্ডকারখানা! তিন ছাত্রীর মারপিটের বিকট দৃশ্য দেখে স্তম্ভিত সকলে)
কীভাবে পরিস্থিতি সামলেছেন সারাহ? দেখে নিন, সেই ভিডিয়ো।
কিন্তু এই ঘটনার অন্য একটি দিকও আছে। এই ঘটনাটি ঘটার পরে অন্য এক সংবাদমাধ্যম একটি অনুষ্টান করেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, হালে কানাডাতে এমন বহু ঘটনাই ঘটেছে, যেখানে সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু বলার সময়ে অনেকেরই মুখে মাছি ঢুকে গিয়েছে এবং তাতে কথা বলায় বাধা পড়েছে। এর পিছনে জলবায়ু সংক্রান্ত কোনও প্রভাব বা পোকামাকড়ের বংশবৃদ্ধি সংক্রান্ত কোনও বিষয় আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। (আরও পড়ুন: আকাশ জুড়ে আজব আলো! দেখতে রামধনুর মতো, কিন্তু আসলে কী? অবাক সাধারণ মানুষ)
সারাহ জানিয়েছেন, এই বিশেষ ঘটনার দিনে খবর পড়তে শুরু করার আগেই তিনি টের পান, স্টুডিয়োতে একটি মাছি উড়ে বেড়াচ্ছে। সেটি কখনও কখনও তাঁর মুখের আশপাশেও উড়ছিল। তিনি মনে মনে বারবার বলেছেন, আজ যেন কোনও সমস্যার মধ্যে না পড়ি, আজ যেন মাছিটা আমায় না জ্বালায়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। মাছিটি ঠিকই তাঁ মুখে ঢুকে পড়েছে। তবে সেই পরিস্থিতি তিনি যেভাবে সামলেছেন, তা দেখেই অনেকেই হতবাক হয়ে গিয়েছেন।
সকলেই বলেছেন, সারাহ খুবই পেশাদারিত্ব দেখিয়েছেন। অন্য সংবাদমাধ্যমগুলিও তাঁর এই কাণ্ডের প্রশংসা করেছে।