বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > এখনও ঘরে ঘরে ভাইরাল জ্বর, H3N2 থেকে হওয়া এই জ্বরে বিপদ বেশি কাদের

এখনও ঘরে ঘরে ভাইরাল জ্বর, H3N2 থেকে হওয়া এই জ্বরে বিপদ বেশি কাদের

H3N2 বেশি বিপদ ডেকে আনছে কাদের?

H3N2 influenza can be deadly: এই ভাইরাল জ্বর কারও কারও জন্য মারাত্মক হয়ে উঠছে। কারা তাঁরা? জেনে নিন কী করে সাবধান হবেন।

ঠান্ডা কমে গিয়েছে। এখন দেশের বেশির ভাগ অংশ জুড়েই রীতিমতো গরম পড়েছে। কিন্তু তার পরেও পুরোপুরি কাটছে না জ্বরের সমস্যা। এখনও দেশের নানা প্রান্তে মানুষ ভুগছেন ভাইরাল জ্বরে। আর এর জন্য দায়ী মূলত H3N2 ভাইরাস। এমনই বলছেন বিজ্ঞানীরা।

এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বেশির ভাগেরই সাধারণ ভাইরাল জ্বরের মতো সমস্যা হয়। কিন্তু কারও কারও ক্ষেত্রে এটি মারাত্মক আকার নিতে পারে। এমনকী প্রাণঘাতীও হয়ে উঠতে পারে সাধারণ ভাইরাল জ্বরটি। কারা তাঁরা? কী বলছে বিজ্ঞান?

(আরও পড়ুন: লম্বা আয়ু পেতে চান? তাহলে নিয়ম করে অতি পরিচিত এই ৪টি জিনিস খান)

H3N2 কাদের জন্য বেশি সমস্যার?

হালের বেশ কয়েকটি গবেষণা বলছে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কারও কারও ব্যাপক সমস্যা হতে পারে। এই তালিকায় গোড়াতেই রয়েছেন তাঁরা, যাঁদের ডায়াবিটিসের সমস্যা আছে। গবেষণা বলছে, ডায়াবিটিসের সমস্যা থাকলে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ শক্তি তৈরি করতে সমস্যা হয়। আর সেটিই বাড়িয়ে দেয় বিপদ। 

যাঁরা ডায়াবিটিসে আক্রান্ত তাঁধের এই সময়ে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে বলছেন চিকিৎসকরা। কী কী নিয়ম মেনে চলবেন এই সময়ে?

টিকা নিন: প্রয়োজন মতো ফ্লুয়ের টিকা নিন। তাতে H3N2 থেকে বাঁচা সম্ভব হবে। এছাড়াও নিয়ম করে করোনা এবং অন্যান্য রোগের টিকাও নিন। তাতে রোগ থেকে বাঁচার সম্ভাবনা বাড়বে। 

হাত ধুতে থাকুন: মনে রাখবেন, কোভিডও যেভাবে ছড়ায়, এই ফ্লু ভাইরাসও অনেকটা সেভাবেই ছড়ায়। তাই নিয়মিত হাত ধুয়ে নিন। আর কোভিজের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। তাতে সংক্রমণের আশঙ্কা কমবে। 

অসুস্থদের থেকে দূরে থাকুন: যাঁদের ডায়াবিটিসের সমস্যা আছে, তাঁরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে দূরে থাকুন। কেউ ভাইরাল জ্বরে আক্রান্ত হলে তাঁর সঙ্গে যতটা পারুন দূরত্ব বজায় রাখুন। 

অসুস্থ হলে বাড়ি থেকে বরোবেন না: মনে রাখবেন, দুর্বল অবস্থায় যত বাইরে বেরোবেন রোগবালাইয়ের আশঙ্কা তত বাড়বে। তাই অশুস্থ বোধ করলে মোটেই বাড়ি থেকে বেরোবেন না। 

জল বেশি করে খান: শরীর আর্দ্র থাকলে এবং জল বেশি খেলে সংক্রমণ দ্রুত সারে। সেক্ষেত্রে ভাইরাস শরীর থেকে দ্রুত বেরিয়ে যায়। তাই এটির চেষ্টা করুন। 

ব্লাড সুগার কম রাখার চেষ্টা করুন: ব্লাড সুগারের মাত্রা যতটা পারা যায়, কম রাখার চেষ্টা করুন। তাতে বিপদ কমবে। 

এর পাশাপাশি সব সময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেও বলা হয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে তিনি আপনাকে সাহায্য করতে পারবেন। 

(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)

বন্ধ করুন