এই সমাজে আত্মনির্ভর হতে চান সকলেই। পুরুষ হোক অথবা মহিলা, স্বাধীনভাবে অর্থ উপার্জন করার প্রবণতা থাকে সকলের মধ্যেই। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, পরিশ্রম করানোর পরেও বেতন দিতে চান না কোম্পানি। এটা ভীষণ স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। কিন্তু সম্প্রতি একটি অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে গেল ফ্রান্সে। বিনা পারিশ্রমিকে কর্মচারীকে বেতন দেওয়ার একটি আশ্চর্যজনক ঘটনা উঠে এলো সামনে।
কোনও কাজই ছোট নয়, যে ভিক্ষা করে উপার্জন করছে, সেও সারাদিন পরিশ্রম করার পরেই তবেই উপার্জন করতে পারে। কিন্তু সারাদিন কোনও কাজ না করে যদি বেতন দেওয়া হয়, তাহলে কেমন লাগবে? এতে না বাড়বে যোগ্যতা, না থাকবে আত্মসম্মান। এমনই ঘটনা ঘটেছে ফ্রান্সের বাসিন্দা লরেন্স ভ্যান ওয়াসেনহোভ নামের মহিলার সঙ্গে।
(আরো পড়ুন: শুধু সুগন্ধি মসলা হিসেবে নয়, রোগ নিরাময়ে করার ক্ষেত্রেও ১০ গোল দেয় জায়ফল)
ওই মহিলার কথা অনুযায়ী, উনি বছরের পর বছর ধরে প্রত্যেকদিন অফিসে যাচ্ছেন। কিন্তু কোম্পানি তাঁকে দিয়ে কোনও কাজ করাচ্ছে না। কোনও রকম কাজ না করেই প্রতি মাসে মোটা অংকের বেতন পাচ্ছেন তিনি। এটি একদিন বা দুদিনের কথা নয়, দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এমনটাই চলছে ওই কোম্পানিতে। অবশেষে বিরক্ত হয়ে কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই মহিলা কর্মচারী।
লরেন্সের দাবি অনুযায়ী, ১৯৯৩ সালে ফ্রান্স টেলিকমে যোগদান করেন তিনি। তিনি মৃগী রোগ নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, এ কথা জানার পরেই তাঁকে চাকরি দেওয়া হয়। ২০০২ সাল পর্যন্ত সবকিছু ঠিকঠাক ছিল কিন্তু যখন তিনি অন্য অফিসে বদলি হয়ে যান, তখন থেকেই শুরু হয় সমস্যা। অন্য অফিসে বদলি হওয়ার পর থেকেই তিনি কোনও কাজ না করে বেতন পান।
(আরো পড়ুন: এই দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ মুসলমান, তবু এখানে নিষিদ্ধ হিজাব! এবার আইন পাশ করে জরিমানার অঙ্কও বাড়ল)
কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করার আগেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নিজের মতামত জানিয়েছিলেন লরেন্স কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। অবশেষে কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করতে বাধ্য হন তিনি। ওই মহিলার আইনজীবী বলেন, কোম্পানি তাকে কোনও কাজ না করিয়ে প্রতি মাসে বেতন দিচ্ছে। এই ভাবেই লরেন্সকে কাজ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে ওই কোম্পানি। তবে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই কোম্পানির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তারা মহিলাদের জন্য খুব ভালো কাজের পরিবেশ দিয়ে থাকেন। লরেন্সের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।