বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Children's Day History: কেন জওহরলাল নেহরুর জন্মদিনেই পালিত হয় শিশু দিবস? কাহিনিটা জানেন কি

Children's Day History: কেন জওহরলাল নেহরুর জন্মদিনেই পালিত হয় শিশু দিবস? কাহিনিটা জানেন কি

বাচ্চাদের খুব ভালোবাসার পাশাপাশি তাদের জন্য নানারকম উদ্যোগ নিয়েছিলেন নেহরু (AP)

Why Jawaharlal Nehru’s Birthday Celebrated as Children's Day: ভারতে শিশু দিবস পালন করা শুরু হয় ১৯৫৯ সালে। প্রথমে ২০ই নভেম্বর দেশজুড়ে পালিত হত এই দিন। জেনে নিন কেন পরিবর্তন করা হয় তারিখটি।

সারাদেশ জুড়ে ১৪ নভেম্বর পালিত হয় জাতীয় শিশু দিবস। দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহরুকে জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাতেই দিনটি শিশু দিবস হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাচ্চাদের মধ্যে নেহরু খুবই জনপ্রিয় ছিলেন। দেশের প্রধানমন্ত্রী বাচ্চাদের মধ্যে পরিচিত ছিলেন চাচা নামে ।

বাচ্চাদের মধ্যে জনপ্রিয় হওয়ার নানা কারণও ছিল। বাচ্চাদের ভালোবাসার পাশাপাশি তাদের জন্য নানারম উদ্যোগ নিয়েছিলেন নেহরু। শুধু বাচ্চাদের জন্য সিনেমা বানানোকে গুরুত্ব দিতে ১৯৫৫ সালে স্থাপিত হয় চিলড্রেন ফিল্ম সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া।

নেহরুর মৃত্যুর আগে পর্যন্ত শিশু দিবস পালিত হত ২০ নভেম্বর। তাঁর মৃত্যুর পর তারিখটি পরিবর্তন করা হয়। ২০ তারিখের পরিবর্তে ১৪ নভেম্বর নেহরুর জন্মদিনে পালিত হয় শিশু দিবস। এই তারিখে বাচ্চাদের দিন হিসেবে উদযাপনের পাশাপাশি নেহরুর জন্মদিনও উপযাপিত হয়। এই দিন ভারতের স্কুলে বাচ্চাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানের পাশাপাশি নেহরুর জন্মদিনকে কেন্দ্র করেও নানা কর্মসূচি পালিত হয়।

জাতিসংঘই প্রথম শিশু দিবস পালন করা শুরু করে। তাদের নির্ধারিত দিনটি ছিল ২০ই নভেম্বর। সারা বিশ্বে শিশুদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকারের বিষয়ে সচেতনতা ছড়াতেই এই দিনটির সূত্রপাত।

প্রধানমন্ত্রী হলেও নেহরু বাচ্চাদের সঙ্গে মিশতেন একদম সাধারণ মানুষের মতো। শিশুশিক্ষাকে সবসময় অগ্ৰাধিকার দিতেন শিশুদের প্রিয় ‘চাচা’। তাঁর বিশ্বাস ছিল, সঠিক শিক্ষার মাধ্যমেই তাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল করা সম্ভব। পাশাপাশি, সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে তারাই একদিন দেশের নাম উজ্জ্বল করবে। এই নিয়ে নেহরুর একটি কথাও খুব প্রচলিত রয়েছে। একবার তিনি বলেন, শিশু কীভাবে মানুষ হচ্ছে তার উপরেই নির্ভর করবে দেশের ভবিষ্যত।

তিনি বাচ্চাদের শুধু যে ভালোবাসতেন তা নয়। নানারকম কল্যাণমূলক প্রকল্পের সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন তাঁর সময়। তাঁর দীর্ঘ প্রধানমন্ত্রীত্বের আমলে দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মিত হয়। নেহরুর ভাবনা ছিল, এই উচ্চশিক্ষার মাধ্যমে বাচ্চারা একদিন দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে জায়গা করে নেবে। দেশ কোন পথে এগোবে তাও ঠিক করে দেবে তাদের শিক্ষার গুণমান।

তাঁর সময়ে কারিগরি শিক্ষার জন্য ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির প্রতিষ্ঠা করা হয়। এছাড়াও ডাক্তারি ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত শিক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠিত হয় অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পড়াশোনার পাশাপাশি এখানে চিকিৎসাও হয়। এছাড়া, ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত পড়াশোনার জন্য তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্টের প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে ম্যানেজমেন্ট সংক্রান্ত পড়াশোনার জন্য এই প্রতিষ্ঠান সারা দেশে বিখ্যাত।

বন্ধ করুন