বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > ৯৯ শতাংশ জিনের গঠন একরকম! তার পরও কেন আলাদা দেখতে মানুষরা?

৯৯ শতাংশ জিনের গঠন একরকম! তার পরও কেন আলাদা দেখতে মানুষরা?

৯৯ শতাংশ জিনের গঠন একরকম! (Freepik)

Science news: মানুষের শরীরের রয়েছে একই ধরনের জিন। এই জিনগুলির ৯৯ ধতাংশছর গড়ন একইরকম। তার পরও আমাদের আলাদা আলাদা দেখতে কেন জানেন?

৯৯ শতাংশ জিনের গঠন একইরকম। মানুষের কোষের ভিতর রয়েছে নিউক্লিয়াস। সেই নিউক্লিয়াসের মধ্যে রয়েছে ডিএনএ। এই ডিএনএ-ই আদতে জিনের গঠন। ৯৯ শতাংশ ক্ষেত্রে এটি দেখতে একইরকম। অথচ মানুষের উচ্চতা থেকে গলার আওয়াজ এমনকী চেহারা আলাদা আলাদা দেখতে হয়। কারও চেহারার সঙ্গে কারও চেহারার ১০০ শতাংশ মিল‌ থাকে না। এমনকী যমজদের মধ্যেও কিছু না কিছু তফাত থেকে যায়। কেন এমনটা হয় জানেন? এর উত্তর আদতে লুকিয়ে রয়েছে বাকি ১ শতাংশ জিনের ১০ ভাগের এক ভাগে। ওইটুকু জিনের  মধ্যেই রয়েছে চেহারা বদলের খতিয়ান‌। গলার আওয়াজ, উচ্চতা থেকে অন্যান্য বৈশিষ্ট্য ওই জিন নিয়ন্ত্রণ করে।

(আরও পড়ুন: প্রজ্ঞানের ভিতর তাবড় তাবড় যন্ত্র! কী উদ্দেশ্যে এসব পাঠাল ইসরো? রইল হদিশ)

সম্প্রতি এই নিয়ে হিন্দুস্তন টাইমস বাংলার সঙ্গে বিশদে আলোচনা করলেন মেডজিনোমের বায়োইনফরমেটিক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডক্টর রবি গুপ্ত।  এই প্রসঙ্গে তিনি জেমস ক্রো-এর এঅটি বৈজ্ঞানিক হিসেবকে তুলে ধরেন। বিখ্যাত জিনবিশারদ জেমস ক্রো জানিয়েছিলেন, মানুষের শরীরে রয়েছে কমবেশি ছশো কোটি জিনের বেস জোড়। এই বেস জোড়ের ১০০০ ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ ৬০ লাখ জিন আলাদা রকম হতে পারে। ৬০ লাখ জিন জোড়ের এই সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। মূলত এরাই আলাদা আলাদা দেখতে হয়। এদের মধ্যে বৈচিত্র্য আছে বলেই মানুষের চেহারায় বৈচিত্র্য আসে। আলাদা আলাদা দেখতে হয় মানুষ। এমনকী যমজদের মধ্যেও কিছু না কিছু তফাত থেকে যায়। ক্রোয়ের ২০০২ সালের তত্ত্ব অনুযায়ী, এই জিনের ভূমিকা একেকটা দেশে একেক রকম হতে পারে। জিন পুলের মাধ্যমে তা ব্যাখ্যা করেন ক্রো। 

(আরও পড়ুন: দাঁতেই নাকি রয়েছে বড় বড় রোগের হদিশ, কী করে বিজ্ঞানীরা টের পেলেন)

এই প্রসঙ্গে ডক্টর রবি গুপ্ত জেনেটিক রোগের কথাও তুলে আনেন। তাঁর কথায়, ভারতে এমন একটি পরিচিত জেনেটিক রোগ হল সিকল সেল অ্যানিমিয়া। এই ধরনের রক্তাল্পতার পিছনে বাবা-মায়ের জিনের গঠন দায়ী‌। শিশুর মধ্যে বংশানুক্রমে এই রোগ আসে। বিশেষ করে ভারতীয় আদিবাসীদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা যায়। জি পুলের বৈশিষ্ট্যের কারণেই এই রোগের বাড়বাড়ন্ত হয়। একটু বুঝিয়ে বলা যাক। ডক্টর রবি গুপ্ত গশার ডিজিজ নামে আরেকটি রোগের কথা বলেন। এই রোগটি আশকেনাজি জিউস প্রজাতির মধ্যে বেশি হয়। সেই তুলনায় সাধারণ নাগরিকরা এই রোগে কম আক্রান্ত হন। এর কারণ, রোগের পিছনে দায়ী জিনটি ওই আদিবাসীদের মধ্যেই বেশি দেখা যায়।

বন্ধ করুন