পিৎজা বিদেশি খাবার হলেও বর্তমানে এদেশে পিৎজার জনপ্রিয়তা কিছু কম নয়। কেবল বড় বড় পিৎজার ব্যান্ড বা বড় ক্যাফেতে নয়, বর্তমানে পিৎজা রাস্তার ধারের বিভিন্ন খাবারের দোকানেও বিক্রি হয়। ছোটরা তো বটেই, বড়রাও অনেকেই পিৎজা খেতে খুব ভালোবাসেন। এমনকী বহু তারকার পছন্দের খাবারের প্রথম সারিতে পিৎজা আসে।
ইষ্ট ও ময়দার তৈরি একটা গোলাকার বেসের উপর পিৎজা সস তার উপর ক্যাপসিকাম, নানা রঙের বেলপেপার, পেঁয়াজ, অলিভ, মাংস বা পনির-সহ নানা রকমের টপিংস ও চিজ দিয়ে পিৎজা বানানো হয়। কিন্তু এই সুস্বাদু পিৎজা খেতে খেতে কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে, গোলাকার পিৎজা কেন চারকোনা বাক্সে ভরে বিক্রি করা হয়? যদি এই উত্তর অজানা হয় তবে, এই প্রতিবেদন আপনার জন্য। চলুন জেনে নেওয়া যাক কেন গোলাকার পিৎজা, চারকোনা বাক্সে ভরে বিক্রি করা হয়।
আরও পড়ুন: জানেন কি এডিস মশা কখন সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে? ডেঙ্গুর প্রকোপ থেকে রক্ষা পেতে মাথায় রাখুন এই সব টিপস
সাধারণত পিৎজার বাক্স তৈরি করতে পিচবোর্ড ব্যবহার করা হয়। আর পিচবোর্ড সাধারণত চারকোনা হয়। সেই চারকোনা পিচবোর্ডকে কেটে গোল আকৃতি দেওয়া তুলনামূলক ভাবে বেশি খরচসাপেক্ষ। তাই গোলাকারের বদলে বর্গাকার বা চারকোনা আকারের বাক্স তৈরি করতে অনেক কম খরচে হয়। পাশাপাশি গোল করে কাঁটার ঝামেলা না থাকার কারণে সময়ও অনেকটাই কম লাগে।
তবে এই খরচের বিষয় ছাড়াও আরও একটা কারণ রয়েছে। পিৎজা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হোম ডেলিভারি করা হয়। বাড়িতে বন্ধুদের সঙ্গে খেলা দেখতে দেখতে কিংবা কোনও সিনেমা দেখতে দেখতে হালকা মুখ চালানোর জন্য অনেকেই বাড়িতে পিৎজা আনিয়ে থাকেন। আর গোলাকার বাক্স হোম ডেলিভারির ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি করতে পারে। কারণ পিৎজা ডেলিভারি করতে যেসব বড় বাক্স বা ব্যাগ ব্যবহার করা হয় তার বেশির ভাগটাই হয় চারকোনা। ফলে সেখানে চারকোনা বাক্স রাখা বেশি সুবিধাজনক হয়। সেই বিষয়টি মাথায় রেখেও পিৎজা গোলাকার বাক্সের বদলে চারকোনা বাক্সে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: পুরানো খবরের কাগজ কিলো দরে বিক্রি না করে বাড়িতে এভাবে কাজে লাগান! রইল টিপস
তাছাড়াও দোকানে পিৎজার বাক্স সঠিকভাবে রাখতে চারকোনা বাক্সই বেশি সুবিধাজনক। কারণ এটিকে সহজে রাখা যায় এবং জায়গাও অনেকটা বাঁচে। এছাড়া ফ্রোজেন পিৎজাও অনেকে কিনে থাকেন। এইসব পিৎজা ফ্রিজে সংরক্ষণ করার ক্ষেত্রে বাক্স চারকোনা হলেই তা বেশি সুবিধাজনক হয়।