এই বিশ্বে অন্যান্য দেশের তুলনায় জনসংখ্যার দিক থেকে সবথেকে এগিয়ে রয়েছে ভারত, জনসংখ্যা প্রায় ১৪১.৭২ কোটি। সব থেকে কম জনসংখ্যা রয়েছে ভ্যাটিকান সিটির, জনসংখ্যা প্রায় ৯০০ জন। তবে প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে জনসংখ্যা, যার ফলে সেই দেশে ভালো মন্দ দু'রকমের প্রভাবই পড়ছে। বাড়তে থাকা জনসংখ্যার প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যেই পালন শুরু হয়েছিল বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস।
প্রতিবছর কবে পালন করা হয় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস?
প্রতি বছর ১১ জুলাই পালন করা হয় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস। চলতি বছর এই দিনটি বৃহস্পতিবার পালন করা হবে।
(আরও পড়ুন: পেটের চর্বি কমান নিমেষে, রইলো ৪টি সহজ আয়ুর্বেদিক টিপস)
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন করার ইতিহাস
১৯৮৯ সালে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচির তৎকালীন গভর্নিং কাউন্সিল এই দিনটি পালন করার কথা বিবেচনা করেন। ১৯৯০ সালের ১১ জুলাই প্রথম এই দিনটি পালন করা হয়। প্রথম বছরই বিশ্বের ৯০টির বেশি দেশ এই দিনটি পালন করে। তারপর থেকেই সারা বিশ্বে প্রতি বছর ১১ জুলাই পালন করা হয় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস।
বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালন করার তাৎপর্য
এই মুহূর্তে সারা বিশ্বের জনসংখ্যা প্রায় ৮ বিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে। এই অতিরিক্ত জনসংখ্যার নেতিবাচক প্রভাব পরছে পরিবেশের ওপর। বাড়তে থাকা জনসংখ্যার কারণে দ্রুত পরিবেশ পরিবর্তন হচ্ছে এবং যার ফলে প্রভাব পড়ছে মানুষের স্বাস্থ্য, শিক্ষার ওপর। এই বিষয়টি নিয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ায় হল এই দিনটি পালন করার তাৎপর্য।
(আরও পড়ুন: স্ট্রেস কমাতে কার্যকরী পেয়ারা, ডায়াবিটিসেও দারুণ উপকারী! আর কী কী গুণ রয়েছে?)
২০২৪ সালে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের থিম
২০২৪ সালে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের থিম এখনও ঘোষণা করা হয়নি। জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের সঙ্গে আলোচনা করে এই থিমটি শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি দ্বারা।
আপনি কীভাবে পালন করবেন বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস
এই মুহূর্তে পৃথিবীতে ৮ বিলিয়ন মানুষ বসবাস করেন। কিন্তু পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষের বেঁচে থাকার সমান অধিকার বা সুযোগ নেই। লিঙ্গ, জাতি, শ্রেণী, ধর্ম, অক্ষমতা এবং নাগরিকত্বের ওপর ভিত্তি করে বহু মানুষ বৈষম্য, হয়রানি এবং হিংসার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিশ্বের প্রত্যেকটি মানুষ যাতে সমান অধিকার পায়, সেই সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে আপনি পালন করতে পারেন বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস।