ওমিক্রন নিয়ে নানা ধরনের মতামত বাতাসে উড়ছে। কেউ বলছেন, এটি সাধারণ সর্দি-জ্বরের মতো, এতে কিস্যু হবে না। কেউ আবার বলছেন, এটা মারাত্মক বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ এর সম্পর্কে অনেক কিছুই অজানা।
কিন্তু সাধারণ মানুষ তাহলে কোন রাস্তা বেছে নেবেন? হালে কেন্দ্রের তরফেও স্পষ্ট বার্তা দেওয়া হয়েছে, ওমিক্রন থেকে নিজেদের যত দূর সম্ভব নিরাপদ রাখতে, কারণ এই সংক্রমণটি সম্পর্কে এখনও সব কিছু স্পষ্ট ভাবে জানা যায়নি। সেই মতেরই সমর্থন করছেন পৃথিবীর তাবড় তাবড় সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরা।
হালে Rockefeller University-র গবেষক এবং চিকিৎসক Michel Nussenzweig জানিয়েছেন, পরিস্থিতি যে দিকে চলেছে, তাতে সকলেরই হয়তো ওমিক্রন সংক্রমণ হবে। কিন্তু যত দেরি করে হয়, তত ভালো। যত তাড়াতাড়ি হয়, ততই বিপদ বাড়বে। Columbia University-র গবেষক David Ho-রও একই মত। তাঁর কথায়, কোভিড গত দু’বছরে আমাদের নানাভাবে চমকে দিয়েছে। ফলে জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না, এটির সংক্রমণ হলে লাভ হবে।
ঠিক তিনটি কারণে এই ওমিক্রন সংক্রমণ থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে রাখতে বলছেন এই বিশেষজ্ঞরা। কারণগুলি কী কী?
- ওমিক্রন সংক্রমণের পরে তার প্রাথমিক উপসর্গগুলি হয়তো সেরে যাচ্ছে। কিন্তু শরীরের উপর তার কেমন প্রভাব পড়ছে, তার সুদূরপ্রসারী ফল কী কী হতে চলেছে, তা এখনও পরিষ্কার নয়। হয়তো আগামী দিনে পরিষ্কার হবে। কিন্তু মনে রাখা দরকার, তার আগে পর্যন্ত এই সংক্রমণটি মোটেই নিরাপদ নয়। আর যত সময় পাওয়া যাবে, ততই ভালো মানের ওষুধ পাওয়া যাওয়ার সম্ভাবনাও বাড়বে।
- এটিকে যত দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে দেওয়া হবে, এর মিউটেশনের হারও তত বাড়বে। অনেকের মতে, দ্রুত ছড়াতে দিলে এটির আর মিউটেশন হবে না। কিন্তু তার সঙ্গে এক মত নন বহু বিশেষজ্ঞই। তাঁদের অনেকের মতেই যত বেশি মিউটেশন হবে, তত ভয় বাড়বে। কারণ এর পরে করোনা কোন রূপ নেবে, আমরা জানি না।
- আরও বড় কথা, এখনও বহু মানুষের টিকাকরণ হয়নি। এমন বহু মানুষ রয়েছেন, টিকা নেওার পরেও যাঁরা করোনা থেকে পুরোপুরি সুরক্ষিত নন। ওমিক্রন যত বেশি ছড়াবে তাঁদের বিপদ বাড়বে। যিনি নিজেকে সংক্রমিত করছেন, তাঁর হয়তো নিজের কিছুই হল না। কিন্তু তাঁর কারণে আরও পাঁচ জন ক্ষতিগ্রস্ত হলেন। এটি চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার পরিচয় হবে।