বাংলা নিউজ > টুকিটাকি > Viral News: বরকে অন্যের সঙ্গে যৌনসম্পর্কে পাঠিয়ে ঘরের কাজ স্ত্রীর, বলছেন, ‘এটাই ভালো লাগে’

Viral News: বরকে অন্যের সঙ্গে যৌনসম্পর্কে পাঠিয়ে ঘরের কাজ স্ত্রীর, বলছেন, ‘এটাই ভালো লাগে’

প্রতীকী ছবি

Bizarre: নিজের স্বামী বা স্ত্রীর মন জয় করতে, বা তাঁকে ভালো রাখতে অনেকেই অনেক কিছু করেন। কিন্তু হালে এক মহিলা সব সীমা পেরিয়ে গিয়েছেন। 

স্বামী বা স্ত্রীকে ভালো রাখতে চান বেশির ভাগ মানুষই। তার জন্য পরিশ্রম থেকে শুরু করে নানা ধরনের আত্মত্যাগও করেন তাঁরা। কিন্তু স্বামী খুশি করার জন্য এক মহিলা যা করছেন, তা রীতিমতো অন্য মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে।

সম্প্রতি মনিকা নামে এক মহিলা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি তাঁর স্বামী খুশি রাখার জন্য সব কিছু করতে পারেন। আর সেটিকেই তিনি নিজের জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হিসাবে নিয়েছেন। কী করছেন তিনি?

মনিকা কোনও পেশার সঙ্গে যুক্ত নন। বাড়ির কাজই সামলান তিনি। আর সেখানেই চমক। মনিকা জানিয়েছেন, তাঁর এবং তাঁর বর জনের সম্পর্ক মোটেই ভালো যাচ্ছিল না। তাই বরকে ভালো রাখার জন্য তিনি পরামর্শ দেন, অন্য মহিলাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে। তাঁর ‘পরামর্শ’ মেনে জন নিয়মিত অন্য মহিলাদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে এবং শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। সেটাই নাকি তাঁদের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার একমাত্র রাস্তা। এটাই মনে করেন মনিকা।

তবে এখানেই শেষ নয়। মনিকা জানিয়েছেন, যে সময়টা তাঁর বর অন্য মহিলাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন, সেই সময়টি তিনি বাড়ির কাজকর্ম সামলান। তিনি ঘরদোর পরিষ্কার করেন, রান্নাবান্না করেন। এমন ভাবে বাড়ি সাজিয়ে রাখেন, যাতে সেখানে ফিরে বরের কোনও অসুবিধা না হয়। এমনকী কখনও কখনও তাঁদের বাড়িতেও অন্য মহিলাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন জন। সেই সময়েও মনিকা বাড়ির নানা কাজই করেন।

সংবাদমাধ্যমকে এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মনিকা বলেছেন, এর মধ্যো দোষের কোনও কিছু দেখেন না তিনি। তিনি মনে করেন, তাঁদের সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য এটির দরকার আছে। আর তাঁর জীবনের একমাত্র কাজই হচ্ছে জনকে খুশি রাখা। তাই তিনি যা করছেন, সেটি তাঁর কাছে একেবারে পরিষ্কার।

এই ঘটনা শুনে অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। তবে সমাজবিজ্ঞানীদের কাছে বিষয়টি একেবারে অভিনব। বর্তমান সময়ে স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকার সম্পর্কে কোন পথে এগোচ্ছে, তার পূর্বাভাস এই ধরনের ঘটনা থেকেই বোঝা যায় বলে মনে করছেন তাঁদের অনেকে। অনেকেরই মত, মনিকা যে কথা প্রকাশ্যে এসে বলেছেন, আসলে বহু মহিলাই চাপে পড়ে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন। তাঁরা স্বীকার করেন না, বা প্রকাশ্যে বলেন না। মনিকা সেখানেই শুধু ব্যতিক্রম।

(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)

বন্ধ করুন