শীতের সময়ে বাজারে আসে টাটকা শাকসবজি ও নানা ধরনের ফল। একইসঙ্গে পরিবর্তন আসে আমাদের ডায়েটেও। টাটকা ফল ও সবজি ঢুকে পড়ে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায়। তবে ডায়াবিটিস রোগী হলে খাবারে রয়েছে নানারকম বাধানিষেধ। রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে কিছু বিধিনিষেধ মানা জরুরি। এছাড়াও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজন কিছু নিয়ম মেনে চলা।
শীতের সকালে হিমের কারণে অনেকসময় প্রাতভ্রমণে বাধা পড়ে। এছাড়া শরীর গরম রাখার জন্য নানা উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার খাওয়ার দরকার হয়। এর ফলে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা মুশকিল হয়ে পড়ে।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, উচ্চ ক্যলোরিযুক্ত খাবার খেলেও মোট ক্যালোরি খাওয়ার পরিমাণ সীমিত রাখা দরকার। তাহলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।বরং মরশুমি ফল ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে অনেকটাই সাহায্য করে।
ফিটনেস ও পুষ্টিবিদ ডাঃ সিদ্ধান্ত ভার্গব এইচটি লাইফস্টাইলকে জানাচ্ছেন, ভারতে ডায়াবিটিস একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২০৩০ সালের শেষে সারা দেশে ৯৮ মিলিয়ন মতো মানুষ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হতে পারে। শীত হোক বা গরম, ডায়েট ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই রক্তের শর্করার মাত্রা আয়ত্তে রাখা যায়।
ইউকেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা লিউক কোটিনহো ও ডাঃ সিদ্ধান্ত ভার্গব জানাচ্ছেন শীতের সময় কিছু নির্দিষ্ট খাবার ডায়েটে রাখা উচিত। এইচটি লাইফস্টাইলকে তেমনই সাতটি খাবারের হদিশ দিলেন দুই বিশেষজ্ঞ।
১. আমলকি: এটি টাইপ-২ ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। আমলকির মধ্যে থাকা ভিটামিন সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। পাশাপাশি এটি রোগপ্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। এই দুটি বিষয়ই ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য দরকারি।
২. বিটগাজরের শিকড়: বিটগাজরের শিকড়ে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ যেমন পটাশিয়াম, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ ও ফাইটোকেমিক্যাল। শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে তাই এটি শীতের ডায়েটে রাখা জরুরি। ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক রাখতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।
৩. বাজরা: শীতের ডায়েটে সবচেয়ে ভালো খাবার হতে পারে বাজরা। অন্যান্য সিরিলের তুলনায় বাজরা অনেক বেশি সময় পেট ভরিয়ে রাখে। কম কার্বোহাইড্রেট ও ফাইবারে সমৃদ্ধ হওয়ায় বাজরা ডায়াবিটিসও আয়ত্ত রাখে।
৪. গাজর: গাজরে রয়েছে সহজে হজমযোগ্য ফাইবার। এটি রক্তে শর্করার মিশে যাওয়া নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৫. টাটকা হলুদের শিকড়: শীতকালে হলুদের শিকড় বাজারে যথেষ্ট পরিমাণে উপলব্ধ থাকে। হলুদ অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি হিসেবে কাজ করে। যা শর্করার মাত্রা ঠিক রাখতে জরুরি।
৬. কমলালেবু: কমলালেবুতে শর্করার পরিমাণ কম হওয়ায় এটি শীতের ডায়েটে অনায়াসে জায়গা করে নিতে পারে।
৭. দারুচিনি: অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ দারচিনি রক্তে শর্করা ও ট্রাইগ্লিসারাইড ঠিক রাখতে সাহায্য করে।