টিকটকের ভিডিয়ো দেখে বেশ মজে গিয়েছিলেন বছর ৩৭এর মহিলা মিসেস বশির। কিন্তু সেই ভিডিয়ো দেখে রান্না করতে গিয়ে যে তারই জীবন বিপদে পড়বে সে কি আর ভেবেছিলেন। বড় ফাঁড়ার মুখ থেকে ফিরে এসে তাই সব্বাইকেই সতর্ক করলেন মরণফাঁদের ব্যাপারে। একটা ছোট্ট ভিডিয়ো দেখানো কায়দা কাজে বাস্তবে করে দেখতে গেলে যে প্রাণটি খোয়াতে হতে পারে সেই ব্যাপারে সতর্কও করে দিলেন পরিচিতদের। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, একটি ডিম সিদ্ধ করার হ্যাক দেখেছিলেন অনলাইনে। মাইক্রোওয়েভ ওভেনে কীভাবে ডিম সিদ্ধ করতে হয়, সেটাই দেখানো হয় ওই ভিডিয়োতে। টিকটকের ভিডিয়োটি বেশ জনপ্রিয়তাও লাভ করে। অনেকের লাইক, শেয়ার কমেন্ট পেয়ে ফিডে ফিডে ঘুরছিল সেটি। সেভাবেই নজরে আসে মিসেস বশিরের।
আরও পড়ুন: কুমড়োর বীজেই লুকিয়ে সঞ্জীবনী সুধা! এই রহস্য হয়তো অনেকেই জানেন না
আরও পড়ুন: একবারে অনেকটা করে খাবার খান? কী বিপদ ডেকে আনছেন জানেন
মিসেস বশির ভিডিয়োটি দেখে বেশ চমকে যান। এত সহজে ডিম সিদ্ধ করা যায় দেখে রীতিমতো খুশিই হন তিনি। শুধু তাই নয়, বাড়িতেই সেই আয়োজন করে ফেলেন। একটি মগের মধ্যে কিছুটা জল ভরে তার মধ্যে ডিম দিয়ে মাইক্রোওয়েভ ওভেনে দুই মিনিট সিদ্ধ করতে টাইমারে বসান। তার পরে বার করে এনে খোসা ছাড়াতে গিয়ে ঘটে যায় দুর্ঘটনা। ডিমের মধ্যে থেকে ফোয়ারার আকারে বেরিয়ে আসে ভিতরের হলুদ অংশ। যা সোজা তার মুখে গিয়ে লাগে। এরপরেই সারা মুখ পুড়ে যায় তাঁর। বাড়িতে কলের জল মুখে দিলেও লাভ হয়নি। পোড়ার জ্বালা কমাতে শেষে হাসপাতালে যেতে হয় তাঁকে। সেখানে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা করানোর ১২ ঘন্টা পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
গোটা ঘটনার জন্য বেশ অনুতপ্ত মিসেস বশির। ওই ভিডিয়ো দেখে মজে যাওয়াই ভুল হয়েছে তাঁর। এখন সে কথাই স্বীকার করছেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর পরিচিতদেরও বারণ করেন এমন সব হ্যাক বাড়িতে একেবারে চেষ্টা না করতে। শুধু তাই নয়, ইন্ডিপেন্ডেন্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাঠকদের উদ্দেশ্যেও একই কথা বলেন তিনি। মুখের ত্বক উঠে আসার পর থেকেই বেশ মনখারাপ তাঁর, নিজের এই হাল দেখে প্রচন্ড অনুতাপ করছেন তিনি। একইসঙ্গে মিসেস বশির প্রতিজ্ঞা করেছেন আর কখনও এমন হ্যাক বাড়িতে চেষ্টাও করবেন না।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup