অনেকেই ঝাল খেতে পারেন না। খেলে মুখ জ্বলে যায়। কিন্তু তা বলে ঝাল খেলে কারও এমন অবস্থাও হয় না। সম্প্রতি যা হয়েছে চল্লিশোর্ধ্ব এক মহিলার সঙ্গে। ঝাল খেয়ে তাঁর পাঁজরের চারটি হাড় গিয়েছে ভেঙে। এবং তার অবস্থা দেখে রীতিমতো আশঙ্কায় চিকিৎসকরা। কী হয়েছে তাঁর?
হালে চিনের এক ঘটনা চিকিৎসকদের হতভম্ব করে দিয়েছে। বছর চল্লিশেকের এক মহিলা ঝাল খেতে গিয়ে রীতিমতো অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। শোনা গিয়েছে তিনি কোনও এক রেস্তরাঁয় ঝাল খেতে যান। খাবারে ঝাল ছাড়াও নানা ধরনের মশলা ছিল। আর সেগুলি থেকে বেশ ঝাঁঝালো গন্ধ আসছিল। সেই খাবার খাওয়ার পরেই কাশি শুরু হয় মহিলার। আর সেটিই বিপদে ফেলে তাঁকে।
টানা কাশতে থাকেন সেই মহিলা। এক সময় কাশির চোটে যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকেন। তখন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন, তাঁর পাঁজরের চারটি হাড় ভেঙে গিয়েছে। এই ঘটনায় রীতিমতো হকচকিয়ে যান বিশেষজ্ঞরা। ঝালের চোটে কাশি, আর সেখান থেকে এমন হতে পারে নাকি কারও? ঝাল খেয়ে পাঁজরের হাড় ভাঙার ঘটনা মোটেই স্বাভাবিক নয়। ফলে আরও বেশ কিছু পরীক্ষা করা শুরু করেন তাঁরা।
প্রথমত, দেখা যায়, মহিলার ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশ কম। ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি উচ্চতা হওয়া সত্ত্বেও মহিলার ওজন মাত্র ৫৬ কিলোগ্রাম। এত কম ওজনের ফলেই বিপদ ডেকে এনেছেন তিনি। দ্বিতীয়ত, তাঁর হাড়ের ঘনত্বও অন্যদের তুলনায় কম। ফলে কাশির চোখে তাঁর বুকে আঘাত লাগে। আর সেটিই ভেঙে দেয় পাঁজরের হাড়।
আপাতত পুরোপুরি শয্যাশায়ী এই মহিলা। তাঁর হাড়ের ঘনত্ব বাড়ানোর কোনও উপায় এখন নেই, কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন, শরীরের ওজন কিছুটা বাড়াতেই হবে। নাহলে আগামী দিনে আরও নানা রকমের বিপদে পড়তে পারেন তিনি।