চুল পড়ে যাওয়া, চুল পাতলা হয়ে যাওয়া, বা অল্প বয়সে টাক পড়ে যাওয়া অনেকেরই কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। এই সমস্যার কারণে অনেকই হীনমন্যতায় ভোগেন।চুল পড়া প্রধানত পুরুষদের সমস্যা হলেও বহু মহিলাই এই রোগের শিকার হন। সম্প্রতি একটি গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, চুল পড়ে যাওয়ার কারণে পুরুষদের থেকে মহিলারা অনেক বেশি মনস্তাত্ত্বিকভাবে প্রভাবিত হন।
বিশিষ্ট cosmetic surgeon ড.দেবরাজ সোম ও বিশিষ্ট চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ড.রিঙ্কি কাপুর এই বিষয়ে একটি গবেষণা চালিয়েছেন। এই গবেষণা করতে গিয়ে তাঁরা প্রাপ্ত বয়স্ক ভারতীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা জানিয়েছেন মোট ৮০০ জন কম বয়সে চুল পড়ে গিয়েছে এমন ব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছেন। দিল্লি,কলকাতা ও মুম্বই শহরে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে Dermatological Reviews পত্রিকায়।
৮০০ জন ব্যক্তির মধ্যে ৪৪২ জন পুরুষ ও ৩৫৮ জন মহিলা। দেখা গিয়েছে ৩০শতাংশ পুরুষ ও ২৭ শতাংশ মহিলা বলেছেন চুল পড়ে যাওয়ার কারণে তাঁরা হীনমন্যতায় ভুগছেন। সেই সকল পুরুষ ও মহিলারা বলেছেন, দ্রুত চুল পড়ে যাওয়ার কারণে তাঁদের সামাজিক জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এই গবেষণার ফলাফল পর্যালোচনা করে গবেষকরা বলেছেন, চুল পড়া মানুষের আত্মবিশ্বাসকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। গবেষকরা আরও জানিয়েছেন, চুল পড়ার কারণে মহিলাদের মানসিক সমস্যার মাত্রা অনেকটাই বেশি।
অকালে চুল পড়ার কারণ: গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুই চিকিৎসক জানিয়েছেন, অকালে চুল পড়ে যাওয়ার নানা কারণ আছে। শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন, দেহে রাসায়নিক পদার্থের ভারসাম্যহীনতা, প্রদাহ জনিত রোগ, সংক্রমণ, ও বংশগত রোগের কারণেও অকালে চুল পড়ে যায়।
মহিলাদের উপর অকালে চুল পড়ার প্রভাব: চিকিৎসক রিঙ্কি কাপুর বলেছেন, অকালে চুল পড়ার কারণে অনেক মহিলাই মানসিক ট্রমার শিকার হন। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা এতটা তীব্র নয়। তাঁর মতে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা এই ঘটনার জন্য অনেকটাই দায়ী। অকালে চুল পড়ার কারণে বহু মহিলারই মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। যার প্রভাব পড়ে সেই মহিলাদের সাংসারিক ও পেশাগত জীবনে।