প্রতি বছর ১ ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হয়। এই রোগের থাবা থেকে রক্ষা পেতে যে পদক্ষেপ করা হয়েছিল, তা তুলে ধরার উদ্দেশ্যেই পালিত হয় এই দিনটি। পাশাপাশি যে সমস্ত ব্যক্তিরা এইচআইভি বা হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাসের সঙ্গে মোকাবিলা করছেন, তাঁদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়াও এই দিবস পালনের অন্যতম উদ্দেশ্য।
১৯৮৮ সালে প্রথম বিশ্ব এইডস দিবস পালিত হয়। সারা বিশ্বের জনগণের জন্য এইচআইভি একটি বিপজ্জনক জনস্বাস্থ্য সমস্যা। এই ভাইরাস ব্যক্তি রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আক্রমণ করে এবং সমস্ত রোগের প্রতি প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষমতাকে কমিয়ে আনে। এর ফলে রোগীর জীবন ঝুঁকির মুখে পড়ে।
বিশ্ব এইডস দিবসের ইতিহাস ও তাৎপর্য
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ পর্যন্ত বিশ্বের ৩.৭৭ কোটি জনগণ এইডসে আক্রান্ত। তবে ১৯৮৪ সালে এই ভাইরাস প্রথম প্রকাশ্যে আসার পর নানা তাৎপর্যপূর্ণ উন্নতি ঘটেছে, কিন্তু ২০২০-র জন্য নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছানো যায়নি বলে মত প্রকাশ করেছে হু। হু জানায় যে, মানবাধিকারের ‘বিভাজন, বৈষম্য ও উপেক্ষা’ এমন কিছু বড়সড় ব্যর্থতা, যা এইচআইভিকে বিশ্বের স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বজায় থাকার ইন্ধন জোগাচ্ছে। কোভিড-১৯ এই পরিস্থিতিকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে। যার ফলে এইডস আক্রান্ত ব্যক্তিরা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন।
বিশ্ব এইডস দিবসের মাধ্যমে এ কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে, এইচআইভির প্রাদুর্ভাব এখনও বর্তমান এবং আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আবার এর প্রতি সচেতনতা গড়ে তোলার কথাও স্মরণ করিয়ে দেয় দিনটি। শুধু তাই নয়, এইচআইভি সংক্রান্ত কুসংস্কারের বিরুদ্ধে লড়াই চালানো ও এ বিষয় জনগণকে শিক্ষিত করে তোলার ওপরও জোর দেয় দিনটি।
থিম
‘অসাম্যের সমাপ্তি ঘটাও। এইডসের সমাপ্তি ঘটাও।’ এটিই ২০২১ সালের বিশ্ব এইডস দিবসের থিম। এই প্রক্রিয়ায় যাঁরা পিছনে থেকে গিয়েছেন তাঁদের কাছে পৌঁছনোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিচ্ছে হু এবং এর অংশীদার সংগঠনগুলি। এই থিমের মাধ্যমে বিশ্ব নেতৃত্বকে অসাম্যের অবসান ঘটানোর জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।